আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগের সপ্তাহেই আইএসএল নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল ক্লাবগুলো। দেশের সেরা লিগকে বাঁচাতে একজোট হয়ে সমাধানসূত্র খোঁজা চলছে। নিজেদের মধ্যে বেশ কয়েকবার আলোচনার পর শুক্রবার ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে চিঠি দিল ক্লাবজোট। ইপিএলের ধাঁচে আইএসএল করতে চায় ক্লাবগুলো। দেশের এক নম্বর লিগ নিজেদের উদ্যোগে চালানোর জন্য এআইএফএফ এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রককে চিঠি পাঠাল আইএসএলের ১৩টি ক্লাব। কিন্তু সেই আবেদনপত্রে সই নেই ইস্টবেঙ্গলের। একমাত্র কলকাতার প্রধান ছাড়া বাকি সব ক্লাবই এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছে।
ফেডারেশন সভাপতিকে লম্বা চিঠি পাঠানো হয়েছে ক্লাবজোটের পক্ষ থেকে। শুক্রবার সকালে আইএসএলে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলো ভার্চুয়াল মিটিং করে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিল না ইস্টবেঙ্গলের কোনও কর্তা। তারপর কল্যাণ চৌবেকে ইমেল করে বিভিন্ন দাবি রাখা হয়। জানানো হয়েছে, নতুন টেন্ডার থেকেও যদি উপযুক্ত ইনভেস্টর না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ইপিএলের ধাঁচে লিগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, আইএসএলের ক্লাবগুলো মিলেই একটি কনসোর্টিয়াম গড়ে লিগের মালিকানা এবং পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। তাঁদের সঙ্গে থাকবে এআইএফএফ এবং অন্যান্য স্পনসররা।
ভারতীয় ফুটবলকে বাঁচাতে সবরকমের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আইএসএলে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলো। আইএসএল সহ ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের হাতে। ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং এআইএফএফকে তাঁদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টকে জানাতে হবে। সময়সীমা শেষ হতে আর মাত্র দু'দিন বাকি। তাই তড়িঘড়ি ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছয় ক্লাবজোট। বর্তমানে এটা ছাড়া উপায় নেই। কোনওভাবে এবারের আইএসএল যাতে ভেস্তে না যায়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দু'দিন আগে ক্রীড়ামন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ভারতীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ লিগ অর্থাৎ আইএসএল দ্রুতই শুরু হতে চলেছে। সেই সঙ্গে অন্যান্য লিগও শুরু হবে। বুধবার ক্রীড়ামন্ত্রী দেশের ক্লাবগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। আলোচনার শেষে লিগ শুরু হওয়ার আশ্বাস দেওয়া হল ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফ থেকে। তবে কীভাবে শুরু হবে, সেই সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে সব জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় ফুটবলের অনিশ্চয়তা কাটাতে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল। আইএসএল, আই লিগের ক্লাবদের নিয়ে বৈঠকের পাশাপাশি এফএসডিএল, বাকি বিডারদের সঙ্গেও আলোচনা হয়। আইএসএলের ভাগ্য এবার সুপ্রিম কোর্ট এবং কেন্দ্রের হাতে।
