নিলাম শুরু হওয়ার আগে থেকেই জল্পনা ছিল তাঁকে পাওয়ার জন্য ঝাঁপাতে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স। নিলামে তাঁর উঠতেই প্রথম আগ্রহ দেখায়নি কেকেআর। প্রথমে চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস এবং লখনউ সুপারজায়ান্টসের মধ্যে লড়াই চলছিল। ১৩ কোটি দাম উঠতেই সরে দাঁড়ায় চেন্নাই। ১৬ কোটি দাম ওঠার পরে সরে দাঁড়ায় দিল্লি। আসরে নামে কেকেআর। শেষ পর্যন্ত ১৮ কোটিতে মাথিশা পাথিরানাকে কিনল শাহরুখ খানের দল। ২০২৬ সালের আইপিএলের মিনি নিলামে আপাতত দ্বিতীয় সর্বোচ্চা দামী খেলোয়াড় কিনল কেকেআর। ক্যামেরন গ্রিনকে ২৫.২০ কোটিতে দলে নিয়েছে তারা।

নিলামের ঠিক আগে, পাথিরানা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইএলটি২০ টুর্নামেন্টে তিন ওভারে ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। যা তাঁর দক্ষতা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট। তাঁর এই স্পেলে পাওয়ারপ্লেতে একটি উইকেট-মেডেনও রয়েছে।

২২ বছর বয়সী শ্রীলঙ্কার এই জোরে বোলার ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চার বছর চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন। ২০২৩ মরসুমে ১৯ উইকেট নিয়ে চেন্নাইকে পঞ্চম আইপিএল ট্রফি জিততে সাহায্য করেছিলেন। ২০২৫ সালে নিজের ফর্মের ধারে কাছে ছিলেন না তিনি। গড়ে ১০-এর উপরে রান বিলিয়ে ছিলেন। তাই তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই। পাথিরানা চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ৩২টি আইপিএল ম্যাচে আট-এর সামান্য বেশি ইকোনমি রেটে ৪৭টি উইকেট নিয়েছেন। ২০২৫ মরসুমের আগে সিএসকে তাঁকে ১৩ কোটি টাকায় ধরে রেখেছিল। কিন্তু তিনি গত মরশুমে কাটিয়েছেন, ১২ ম্যাচে ১০.১৩ ইকোনমি রেটে মাত্র ১৩টি উইকেট শিকার করেন। চোটের কারণে শেষ পর্যন্ত নিলামের আগেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, মিনি নিলামে ঝড় তুলেছে কেকেআর। অস্ট্রেলিয় অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনকে ২৫.২০ কোটিতে তুলে নিয়েছে কেকআর। তাঁর দর যে আকাশ ছুঁয়ে যাবে এমনই ইঙ্গিত ছিলই। একটা সময় পর্যন্ত কেকেআর ও রাজস্থানের মধ্যে লড়াই চলছিল। তারপরে গ্রিনকে নেওয়ার দৌড়ে উৎসাহ দেখায় চেন্নাইও। শেষমেষ ২৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় কলকাতার নব্য নাইট  হলেন গ্রিন। আইপিএলের ইতিহাসে ক্যামেরন সবথেকে দামি ক্রিকেটারদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে। প্রথমে রয়েছেন ঋষভ পন্থ, তারপর শ্রেয়স আইয়ার।