আজকাল ওয়েবডেস্ক: সকালের শুরু দেখে বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে। পুরোটা বোঝা না গেলেও কিছু একটা ইঙ্গিত তো পাওয়া যায়।
ইডেন গার্ডেন্সের বিরাট কোহলির ব্যাটিং দেখে অনেক দলের বোলারদেরই রাতের ঘুব উবে যাবে।
৩৬ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ম্যাচ জেতে আরসিবি। শুধু কোহলিতে রক্ষে ছিল না, সঙ্গী ছিলেন সল্ট। এই দুইয়ের যুগলবন্দিতে নাজেহাল হয়ে যায় কেকেআর।
সল্ট ও কোহলিকে সামলাতে বরুণ চক্রবর্তীকে আক্রমণে আনেন কেকেআর অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। আরসিবির ইনিংসের তখন চতুর্থ ওভার। তবুও থামানো যায়নি দু'জনকে।
কোহলি দুরন্ত কিছু শট খেলেন ইডেনে। স্ট্রেট ব্যাটে লং অন, লং অফের উপর দিয়ে শট খেলেন। পুল মারতে দেখা যায় কিং খানকে। তবে যে শট কোহলি খেলার পরে সবাই মনে করছেন, এই শট এবার বোলারদের ভোগাবে, তা হল স্লগ সুইপ।
স্পিনারদের বশ মানাতে কোহলি স্লগ সুইপের রাস্তা নেন। স্পিনের বিরুদ্ধে এই স্লগ সুইপই কোহলির আসল অস্ত্র বলে মনে করেন অনেকে। ইডেনে বরুণ চক্রবর্তী ও সুনীল নারিনের বিরুদ্ধে এই স্লগ সুইপ মারতে দেখা গিয়েছে বিরাটকে। সাধারণত কোহলিকে দেখা যায় স্ট্রাইক রোটেট করতে। তাঁর সঙ্গী এসে বড় শট খেলেন।
এই স্লগ সুইপ শট নিয়ে ম্যাচের শেষে আলোচনা করতে দেখা যায় অভিনব মুকুন্দ ও শিখর ধাওয়ানকে। কোহলির ইনিংস নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করেন তাঁরা। তাঁদেরও মনে হয়েছে, এই স্লগ সুইপ বিপক্ষের বোলারদের সমস্যায় ফেলবে।
খেলার শেষে অভিনব মুকুন্দ জিজ্ঞাসা করেন শিখর ধাওয়ানকে, ''অধিনায়ক হিসেবে আপনি চিন্তা করছেন স্পিন দিয়ে কোহলিকে শান্ত রাখবেন। কিন্তু স্পিনের বিরুদ্ধেও সমান স্বচ্ছন্দ কোহলি, তাহলে ক্যাপ্টেনের কী করার আছে? এই স্লগ সুইপ শট কোহলির কাছ থেকে বিশেষ দেখা যায় না।'' ধাওয়ান বলেন, ''সুইপ বেশি মারে না কোহলি। স্লগ সুইপও খুব কম দেখা গিয়েছে কোহলির ব্যাট থেকে। স্পিনারদের কাজ কঠিন হচ্ছে। আগে স্ট্রাইক রোটেট করত কোহলি। এবার যদি ও স্লগ সুইপের রাস্তা নেয়, তাহলে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে কোহলি।''
