আজকাল ওয়েবডেস্ক: সবাই অপেক্ষায় ছিলেন শ্রেয়স ঝড় উঠবে ইডেনে। পুরনো দলের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠবে তাঁর ব্যাট। গতবার তাঁর হাত ধরেই কেকেআর ক্যাম্পে এসেছিল আইপিএল ট্রফি। তার পরেও তাঁকে ছেড়ে দেয় নাইটরা। তা নিয়ে অভিমান ছিল শ্রেয়সের মনে। 

শনি সন্ধ্যার ইডেনে শ্রেয়সের দুই  ওপেনার বোধহয় তাঁর হয়ে জবাব দিলেন। প্রথমে প্রিয়াংশ আর্য। পরে প্রভসিমরন সিং। 

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রেয়স। তার পর শুরু হয় দুই পাঞ্জাবী ওপেনারের ঝোড়ো ব্যাটিং। নাইটদের কোনও বোলারকেই রেয়াত করেননি  তাঁরা। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ১২০ রান। 

সামনে যাঁদের পেয়েছেন, তাঁদের মাঠের যত্রতত্র ছুড়ে ফেলেছেন প্রিয়াংশ ও প্রভসিমরন। অখ্যাত-অজ্ঞাত দুই ওপেনার গতবারের চ্যাম্পিয়নদের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার অবস্থা করেছিলেন। প্রিয়াংশ মাত্র ৩৫ বলে ৬৯ রান করেন। ৮টি বাউন্ডারি ও ৪টি ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। 

প্রিয়াংশের ক্লিন হিট থেকে বাঁচতে পারেননি বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারিনের মতো রহস্য স্পিনার। প্রিয়াংশ ফিরে যাওয়ার পরে আক্রমণ শুরু করেন প্রভসিমরন। তাঁর দৌরাত্ম্যে একসময়ে মনে হয়েছিল রানের এভারেস্টে চড়বে পাঞ্জাব। নিজেও সেঞ্চুরি হাঁকাবেন তিনি। শেষমেশ ৪৯ বলে ৮৩ রানে ফিরে যান প্রভসিমরন সিং। বৈভব অরোরার বলে রভম্যান পাওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন প্রভসিমরন। ৬টি চার ও ৬টি ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। 

প্রভসিমরন যখন ফিরে যান, তখন পাঞ্জাবের রান ছিল ২ উইকেটে ১৬০। রানের শিখরে পৌঁছনোর বড় সুযোগ ছিল পাঞ্জাবের সামনে। অধিনায়ক শ্রেয়সের সঙ্গে ক্রিজে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বরুণ চক্রবর্তীর ঘূর্ণিতে ঠকে গিয়ে বোল্ড হন ম্যাক্সওয়েল (৭)। পাঞ্জাবের রান তখন ৩ উইকেটে ১৭২ রান। মার্কো জ্যানসেন (৩)  বৈভবের স্লোয়ারে ঠকে যান। শেষ পর্যন্ত পাঞ্জাব করে ৪ উইকেটে ২০১ রান। শ্রেয়স অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে।