আজকাল ওয়েবডেস্ক: হেড কোচ আকিব জাভেদ ও অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ানের মধ্যে মনোমালিন্যের জেরেই কি পাকিস্তানের এই দুর্দশা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে? 

সূত্রের খবর অনুযায়ী, কোচ ও অধিনায়কের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ের জন্যই পাকিস্তানের হতশ্রী অবস্থা। 

গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রিজওয়ানের সঙ্গে আকিব জাভেদের আলোচনা ঠিকঠাক হত না। কোচ ও অধিনায়কের মধ্যে সমস্যার প্রধান কারণ হল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে খুশদিল শাহের অন্তর্ভুক্তি। ক্যাপ্টেন চেয়েছিলেন খুশদিল শাহকে। আকিব জাভেদ চেয়েছিলেন ফাহিম আশরাফকে। কিছু কিছু খেলোয়াড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচক কমিটির সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি রিজওয়ান। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে পাকিস্তান ছিটকে যাওয়ার পরে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে, টুর্নামেন্ট শেষ হলে আকিব জাভেদের চাকরি যাবে। কিন্তু পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার কিন্তু পাকিস্তানের হেড কোচের চেয়ার ছাড়তে রাজি নন। কিন্তু পিসিবি তাঁকে সরিয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। 
 
বাবর আজমদের পারফরম্যান্সে চটে রয়েছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটাররা। শোয়েব আখতারের মতো প্রাক্তন বোলার বাবর আজম ও রিজওয়ানকে দুষেছেন। পাকিস্তানের এই ভরাডুবির পরে আকিব জাভেদ বলেন, ''জীবনে অজুহাত দিলে চলে না। আমাদের দলকে চিরকাল আমরা সাপোর্ট করে গিয়েছি। প্রতিটি ম্যাচের আগে আমরা আশাবাদী থাকতাম। নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে এমনতিই খেলোয়াড়রা হতাশাগ্রস্ত। দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে আমাদের একটাই বার্তা, আমরা সবসময়ে নিজেদের সেরাটা দিয়ে এসেছি।'' 

নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম ম্যাচে হার মানে পাকিস্তান। দুবাইয়ে ভারতের বিরুদ্ধেও হার হজম করতে হয় রিজওয়ানদের। আকিব জাভেদের যুক্তি, ''ভাল রান তুলতে না পারলে এবং বোলারদের আক্রমণাত্মক বোলিং করতে হয়। কিছু কিছু  ক্ষেত্রে বড় ম্যাচের প্লেয়ারদের উপস্থিতি দরকার ছিল। সাইম আয়ুব ও ফকর জামানের অনুপস্থিতি পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।'' 

একটা দল হারতে শুরু করলে প্রকাশ্যে আসে দুর্বলতা, সমস্যার কথা। বেরিয়ে পড়ে সাজঘরের কথা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে পাকিস্তানের  ড্রেসিং রুমের কথা বেরিয়ে আসছে।