আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় ফুটবলে আরও একটি লজ্জার রাত উপহার দিয়েছেন খালিদ জামিলের ছেলেরা। বাংলাদেশের কাছেও হার মানতে হয়েছে। আর সেই হারের পরে ভারতের ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও পতন ঘটল।
ঢাকায় ২২ বছর পর ভারতকে হারাল বাংলাদেশ। মোট চার বার। গ্রুপের পাঁচ ম্যাচে একটিতেও জয় নেই খালিদ জামিলের দলের। অন্যদিকে এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারের প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে ভারতের কোচ খালিদ জামিল হতাশ। সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর কথা শোনাই যাচ্ছিল না। খেলার ১২ মিনিটে শেখ মোরসালিন গোল করেন। সেই গোল আর শোধ করা গেল না। খালিদ বলেন, ''আমরা হেরেছি, এটা খুব খারাপ। অত্যন্ত হতাশারও।'' ভাগ্য সহায় ছিল না বলেই কি হার? দুর্ভাগ্য? খালিদ বলছেন, ''দুর্ভাগ্য নয়। তবে এটাই ফুটবল। কঠোর পরিশ্রম করলে তিন পয়েন্ট পাওয়া যায়। তিন পয়েন্টের জন্য আমাদেরও কঠিন পরিশ্রম করতে হত।''
কিন্তু মাঠে নেমে ভারতের খেলায় তালমিল দেখাই গেল না। এলোমেলো ফুটবল খেললেন সবাই। প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে ভারতের ব্যবধান ক্রমশ কমছিল। এবার তো হেরেই গেল।
ভারতকে হারানোর পরে র্যাঙ্কিংয়েও উন্নতি ঘটেছে বাংলাদেশেরও। অন্যদিকে ভারত নেমে গিয়েছে আরও ছ'ধাপ। সাম্প্রতিক ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ভারত এখন ১৪২ নম্বরে। অন্যদিকে বাংলাদেশ তিন ধাপ উঠে এসে ক্রমতালিকায় ১৮০ নম্বরে। তাদের পয়েন্ট এখন ৯১১। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে পয়েন্ট ছিল ৮৯৪।
ভারতীয় ফুটবল ক্রমশ পিছিয়েই চলেছে। কাফা নেশনস কাপে আশা জাগান ভারতীয় কোচ খালিদ জামিল। তাজাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে অভিষেক হয়।
১৭ বছরের ইতিহাসে যা প্রথম। ব্রোঞ্জ জেতে ভারত। কিন্তু তারপর থেকেই আবার পতন। সিঙ্গাপুরের কাছে হারে এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারে আশা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ৪ ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট ছিল ভারতের। পাঁচ ম্যাচের পরও পয়েন্ট ২। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে বাকি সব ম্যাচ জিতলেও ৮ পয়েন্টে পৌঁছতে পারত ভারতীয় দল। যা ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুর এবং হংকং সংগ্রহ করে ফেলেছে। তাই ম্যাচটা শুধুই নিয়মরক্ষার ছিল। কিন্তু সম্মান রক্ষার ম্যাচেও ব্যর্থ সন্দেশরা। ভারতীয় ফুটবল কোন পথে, প্রশ্ন উঠে গেল বাংলাদেশের কাছে হারের পর। সেই সঙ্গে র্যাঙ্কিংয়েও নেমে গেল ভারত।
