আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের মহিলা ক্রিকেট  দলের কাছে তিনিই যেন সান্তা হয়ে এলেন। 
প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ মহিলা দলের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতল ভারত। ম্যাচের সেরাও তিনি। 

তিনি আর কেউ নন। তিনি হরলীন দেওল। বছরের শেষ প্রান্তে এসে হরলীন আলো ছড়িয়ে গেলেন। অথচ বছরের শুরুতে মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগ থেকে ছিটকেই গিয়েছিলেন তিনি। ইউপি ওয়ারিয়র্স বনাম গুজরাট জায়ান্টসের ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন ভারতের মহিলা দলের এই তারকা  ক্রিকেটার। তার জন্য মরশুমই শেষ হয়ে গিয়েছিল। গুজরাট জায়ান্টস পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানিতে থেকে শেষে করেছিল। 
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রত্যাবর্তন ঘটে হরলীনের। ৭০ রান করেছিলেন সেখানে। ক্যারিবিয়ান মহিলা দলের বিরুদ্ধে হরলীন ১০৩ বলে ১১৫ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁর জন্যই ভারতের মহিলা দল পাবাড়প্রমাণ ৩৫৮ রান করে। 

সাফল্যের দিনে অন্ধকার মাখা দিনগুলোর কথা স্মরণ করেন হরলীন। চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পরে ভাল করে হাঁটতে পারতেন না। জলের বোতল তোলার মতো ক্ষমতা ছিল না। সেই সময়ে তাঁর মা মেয়ের দেখভাল করেন। মেয়ের প্রত্যাবর্তনের লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন মা-ও। 

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">December 25, 2024

বিসিসিআি থেকে পোস্ট করা ভিডিওয়  হরলীনকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''আমার মা আজ কতটা খুশি সেটাই ভাবছি। চোটগ্রস্ত যখন ছিলাম, তখন আমার পাশে অনেকেই ছিলেন। কিন্তু মায়ের কথা ভুলতে পারি না। আমি হাঁটতে পারতাম না। জলের বোতল হাতে নেওয়ার চেষ্টা করতাম, পারতাম না। মা কিন্তু তার জন্য বিরক্ত হয়নি।''

হরলীনের এই সাফল্যের দিনে দারুণ খুশি জেমাইমা রডরিগেজও। রিহ্যাবের সময়ে হরলীনের ল়াইয়ের কথা স্মরণ করেছেন জেমাইমা স্বয়ং। জেমাইমা বলেছেন, ''হ্যারির এসিএল টিয়ার হয়েছিল। মুম্বইয়ে ওর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। ওর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। রিহ্যাবের সময়ে চোখ দিয়ে জল বেরোতেও দেখেছি হ্যারির। বন্ধু হিসেবে খুব খারাপ লেগেছিল। ওর সেঞ্চুরির সময়ে আমি নন স্ট্রাইক এন্ডে ছিলাম। ওর সেঞ্চুরি দেখার পরে আমিও আরও বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম।'' 

সবই হয়তো আগে থেকে ঈশ্বরই পরিকল্পনা করে রাখেন। খারাপ সময়ের মেঘ সরিয়ে আলোর দেখা মেলে।  বছরের শেষে এসে যেমন হরলীন আলোর দেখা পেলেন।