আজকাল ওয়েবডেস্ক: এজবাস্টনে আগে কখনও জেতেনি ভারত। টেস্টে এশিয়ান কোনও দেশই পারেনি বিজয়কেতন ওড়াতে। সেখানেই ইতিহাস বদলে দেন শুভমান গিলের দল। ৩৩৬ রানে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। তৈরি হয় একাধিক রেকর্ড। 

বিদেশের মাটিতে ভারত সব থেকে বড় ব্যবধানে জয় পেল রবিবারের এজবাস্টনে। ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩১৮ রানে হারিয়েছিল বিরাট কোহলির দল। 

এজবাস্টনে ঘুরে দাঁড়াল ভারত। বেন স্টোকসের দলের বিরুদ্ধে ভারত টেস্টের ইতিহাসে চতুর্থ বড় জয় পেল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়।

বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের নিরিখে গিলই সবচেয়ে কম বয়সী অধিনায়ক। তিনি পিছনে ফেলে দেন কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরকেও। 

অধিনায়ক হিসেবে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী গিল। ১৯৭৬ সালে নিউজিল্যান্ডে ২৬ বছর বয়সে টেস্ট জিতেছিলেন সানি। গিল জিতেছেন ২৫ বছরে।

এশিয়ার ক্রিকেট খেলিয়ে দেশগুলোর জন্য এজবাস্টন এতদিন ছিল ব্যর্থতার প্রতীক। ১৯টি টেস্ট খেলে এবারই প্রথম কোনও এশিয়ান দল জয় পেল। সাতটি হার ও একটি ড্রয়ের পর ভারত অবশেষে জয়ের হাসি হাসল। 

এজবাস্টনে ৪১.১ ওভার বল করে ১০ উইকেট নেন  আকাশদীপ। ভারতের হয়ে এক টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড এখন তাঁরই ঝুলিতে। তিনি ভেঙে দিয়েছেন চেতন শর্মার ১৯৮৬ সালের ১০/১৮৮ রেকর্ডও।

নতুন বলে আকাশ ও সিরাজ মিলে নেন ১৭টি উইকেট। ভারতের ইতিহাসে টেস্টে নতুন বল হাতে ওপেনিং জুটি হিসেবে এটি যৌথভাবে সর্বোচ্চ। 

২০০৫ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ইরফান পাঠান ও জাহির খান এবং ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদব নজির গড়েছিলেন। 

এছাড়াও রানের রেকর্ড গড়ে ভারত। প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২৭/৬ করে ভারত। মোট ১০১৪ রান। টেস্ট জয়ে কোনও দলের এটাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ১৯৩৪ সালের ওভাল টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ১০২৮ রানের রেকর্ডই শুধু সামনে। এজবাস্টনে জিতে ভারত সমতা ফিরিয়ে এনেছে টেস্ট সিরিজে। জমে গেল ভারত-ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্ট।