আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইংল্যান্ড জিতে নিয়েছেন শুভমন গিল। প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন। প্রথম দিনের শেষে তাঁর রান ছিল ১১৪। তাঁর সঙ্গী ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। বাঁ হাতি অলরাউন্ডার অপরাজিত ছিলেন ৪১ রানে। ভারতের রান ছিল পাঁচ উইকেটে ৩১০। 

দ্বিতীয় দিনেও গিলের ব্যাটিং দাপট অব্যাহত। লাঞ্চের সময়ে ভারতের রান ৬ উইকেটে ৪১৯। জাদেজা হতভাগ্য। ৮৯ রানে ফিরতে হল তাঁকে। টংয়ের বিষাক্ত বাউন্সার থেকে নিজেকে সরাতে না পেরে আউট হন। তার আগে অবশ্য অধিনায়ক গিলের সঙ্গে ২০৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। জাদেজার ৮৯ রানে সাজানো ছিল ১০টি চার ও একটি ছক্কা। 
লাঞ্চের সময়ে গিল অপরাজিত ১৬৮ রানে। 

সংবাদ মাধ্যমে গিলের ইনিংস নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে। তাঁর মতো নিয়ন্ত্রণ দেখাতে পারেননি প্রাক্তন ক্রিকেট তারকারাও। মে মাসে গিলকে যখন টেস্ট অধিনায়ক করা হয়, বিদেশের মাটিতে ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের রেকর্ড নিয়ে তখনও অনেকেই সন্দিহান ছিলেন। 

ইংল্যান্ডে আগের ছয় ইনিংসে গিলের গড় ছিল মাত্র ১৪.৬৬। কিন্তু দুটো টেস্টে দুটোতেই সেঞ্চুরি করে গিল বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন। তাঁর ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও। রবি শাস্ত্রীর মতো দেশের প্রাক্তন কোচ বলেছেন, ''গিল নিজের ডিফেন্স নিয়ে অনেক কাজ করেছে। অতীতে গিল ইংল্যান্ডে শক্ত হাতেই খেলত। এখন নিজের খেলার ধরন বদলেছে। বলকে এখন ব্যাটে আসতে দেয়।'' দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ পর্যন্ত গিল কিন্তু দেখিয়েছেন তিনি ক্রমশ পরিণত হয়ে উঠেছেন। 

হেডিংলিতে সেঞ্চুরির পরে গিলকে নিয়ে পরিকল্পনা করে রেখেছিল ইংল্যান্ড। গত ১৬ বছরে কোনও ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে এতটা সোজা বল করেননি ইংল্যান্ডের বোলাররা। তাঁকে এলবিডব্লিুউ করতে চেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। দ্বিতীয় দিনও একই রণকৌশল নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গিল যে অন্য ধাতুতে গড়া ব্যাটসম্যান। তিনি যেভাবে ব্যাট করছেন তাতে দ্বিশতরানের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকেই।