আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের কিংবদন্তির বিরুদ্ধে মারাত্বক অভিযোগ করে বসলেন ওয়াসিম আক্রম। একসময় একসঙ্গে খেলেছেন। তার কয়েক দশক কেটে যাওয়ার পর ইমরান খানের নেতৃত্বে খেলা নিয়ে মন্তব্য করেন সুইংয়ের রাজা। অধিনায়ক হিসেবে ইমরান খানকে ফুল মার্কস দেন আক্রম। ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে তাঁর দেখা সেরা অধিনায়ক বাছলেন। আটের দশকের মাঝামাঝি তাঁর ক্রিকেটজীবন শুরু হয়। তাঁকে শুধু একজন ভাল ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তোলা নয়, একজন পেশাদার হতেও সাহায্য করেন। তার অধিকাংশই এসেছে ইমরানের নেতৃত্বে। আক্রম বলেন, 'আমি ক্রিকেটার হিসেবে মাঠে এবং মাঠের বাইরে যা সাফল্য পেয়েছি, তাতে অবদান রয়েছে ইমরান খানের। ও আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াত। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। নিজের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ছিল। পরিশ্রমী ক্রিকেটার ছিল।'
অনেকেই মনে করেন, ইমরান ঈশ্বর প্রদ্যোত ছিল। কিন্তু ওয়াসিম আক্রমের ধারণা, পরিশ্রমের ফলেই সাফল্য পান পাকিস্তানের কিংবদন্তি। আক্রম বলেন, 'সবাই বলত আমি প্রতিভাবান। অধিনায়ক ততটা প্রতিভাবান নয়। ও পরিশ্রমী। মনে আছে, ও নিজের বোলিং অ্যাকশন বদলে ফেলে। ১৯৭৬ থেকে। অ্যাকশনে পরিবর্তন আনতে মাসের পর মাস লেগে যায়। অনেক সময় হয়ও না। কিন্তু ও নিজের অ্যাকশন বদলে ফেলেছিল। এতটাই মনের জোর ছিল।' ইমরানের নিজেকে নতুন করে মেলে ধরার এই চেষ্টা দলের জন্য একটা উদাহরণ সৃষ্টি করে। তাঁর পরিশ্রমী মনোভাব দলের মধ্যে একটা কর্মসংস্কৃতি তৈরি করে। যেখানে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা ছিল না। আক্রম বলেন, 'আমার দেখা সেরা অধিনায়ক। ইমরানের অধীনে খেলা আমি সবচেয়ে উপভোগ করেছি। আমাদের সবাইকে আত্মবিশ্বাস দিত।'
প্লেয়ারদের সঙ্গে যেমন বন্ধুর মতো মিশে যেতেন, তেমনই প্রয়োজনে শক্ত মনোভাবও দেখাতেন। মাঠে পূর্ণ দায়বদ্ধতা চাইতেন পাকিস্তান ক্রিকেটের কিংবদন্তি। এই প্রসঙ্গে আক্রম বলেন, 'মাঝে মধ্যে আমরা গাছাড়া মনোভাব দেখালে আমাদের ওপর চিৎকার করত। ও শক্তপোক্ত ছিল। তবে সেটা মাঠেই। আমাদের থেকে একশো শতাংশ চাইত। তারপরও সাফল্য না এলে, কিছু বলত না। চাপের পরিস্থিতি কেউ এড়িয়ে যেতে চাইলে পছন্দ করত না। বুঝতে পারত সংশ্লিষ্ট প্লেয়ার নিজেকে বাঁচাতে চাইছে। তাতেই প্রচণ্ড চটে যেত।' চাপের মধ্যে যেসব প্লেয়ার নিজেদের গা বাঁচানোর চেষ্টা করত, তাঁদের অপছন্দ করতেন ইমরান খান। বাইশ গজ পেরিয়ে রাজনৈতিক আঙিনায় প্রবেশ করেছেন প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। দীর্ঘ বছর পর ইমরানের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন আক্রম।
