আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব–১৯ এশিয়া কাপ। শিরোপার দৌড়ে অন্যতম ফেভারিট ভারতীয় দলকে ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে প্রবল আগ্রহ।

আয়ুষ মাত্রে ও দাপুটে বৈভব সূর্যবংশীর মতো ব্যাটিং তারকা থাকায় ভারত শুরু থেকেই এগিয়ে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারতের সঙ্গে একই গ্রুপে রয়েছে পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং মালয়েশিয়া। ১৪ ডিসেম্বর মুখোমুখি হবে ভারত–পাকিস্তান।

টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই প্রশ্ন উঠছে যুবদের এশিয়া কাপেও ভারত কি তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে ‘নো-হ্যান্ডশেক’ নীতি বজায় রাখবে?

সিনিয়র দলের এশিয়া কাপ, মহিলা বিশ্বকাপ এবং রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপে ভারতীয় দল পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকার করেছিল চলতি বছর পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার শিকার ও ভারতীয় সেনার প্রতি সংহতি জানাতে।

তবে অনূর্ধ্ব–১৯ এশিয়া কাপের ক্ষেত্রে আইসিসি কী ভাবছে? সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা যুবদের এই টুর্নামেন্টে রাজনীতির ছায়া পড়ুক তা একেবারেই চায় না।

তাই খেলোয়াড়দের সাধারণ ক্রীড়াসুলভ প্রোটোকল মেনে চলার প্রত্যাশা করছে তারা। একজন বিসিসিআই কর্তা পিটিআইকে জানিয়েছেন, এখনও খেলোয়াড়দের কিছু জানানো হয়নি। তবে কীভাবে বিষয়টি সামলাতে হবে তা নিয়ে দলের ম্যানেজার আনন্দ দাতার সঙ্গে বোর্ড দফায় দফায় আলোচনা করেছে।

তিনি আরও বলেন, ভারতীয় খেলোয়াড়রা যদি পাকিস্তানের সঙ্গে হাত না মেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ম্যাচ রেফারিকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে।

বোর্ডের ওই কর্তা জানিয়েছেন, ‘ছেলেদের এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে স্বাভাবিকভাবেই বোর্ড ম্যানেজার আনন্দ দাতাকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে। যদি ভারতীয় দল পাকিস্তানের সঙ্গে হাত না মেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়, ম্যাচ রেফারিকে আগে থেকে জানাতে হবে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আইসিসি চায় না জুনিয়র ক্রিকেটে রাজনীতি সামনে আসুক। এতে খারাপ বার্তা যায় এবং ফলাফল নেতিবাচক হতে পারে।’ টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভক্তরা ভবিষ্যদ্বাণী করছেন, ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে উঠবে। ফলে দুই দল গ্রুপ পর্ব ছাড়াও নক আউটেও মুখোমুখি হতে পারে।