আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ তিনি লিওনেল মেসি। ফুটবলের রাজপুত্র। সদ্য ভারত সফর করে গিয়েছেন। তাঁকে নিয়ে ভারতের বিভিন্ন শহরে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।


আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের ফুটবলার ২০২২ সালে বিশ্বকাপ জিতেছেন। পাশাপাশি তিনি ক্লাব ফুটবল খেলেন ইন্টার মায়ামিতে। এবার জানা যাচ্ছে, মেসির খেতাব জেতা মাঠের ঘাস বিক্রি হচ্ছে। নিজেদের স্টেডিয়ামের ঘাস বিক্রি করে দিচ্ছেন ইন্টার মায়ামি কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়েছে, চেজ স্টেডিয়ামের ঘাস স্মারক হিসাবে রাখতে পারবেন সমর্থকরা।


প্রসঙ্গত, আগামী মরশুম থেকে আর চেজ স্টেডিয়ামে খেলবেন না মেসি, লুইস সুয়ারেজরা। ইন্টার মায়ামির নতুন ঘরের মাঠ হবে ‘মায়ামি ফ্রিডম পার্ক’। গত ৭ ডিসেম্বর চেজ স্টেডিয়ামে খেলা শেষ ম্যাচে মেসিরা প্রথম বার মেজর লিগ সকার কাপ জিতেছেন। মায়ামির সমর্থকদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়া মাঠটি ছেড়ে দিচ্ছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তাই সদস্য, সমর্থকদের স্মারক বা স্মৃতি সংগ্রহের সুযোগ দিচ্ছেন তাঁরা। ক্লাবের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই সেই মাঠ, যেখানে ইন্টার মায়ামির যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২০২০ সালে প্রথম মরশুমে তৈরি হয়েছিল অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। লিওনেল মেসির যোগ দেওয়া এবং ক্লাবের প্রথম ট্রফি এই মাঠে। রয়েছে প্রথম এমএলএস কাপও।’


চেজ স্টেডিয়ামের ঘাস দিয়ে কয়েকটি জিনিস তৈরি করা হচ্ছে সদস্য, সমর্থকদের কাছে বিক্রির জন্য। তৈরি করা হচ্ছে দু’রকম চাবির রিং। একটি সীমিত সংস্করণের রিং এবং একটি ১০ নম্বর জার্সির আদলে তৈরি। দাম রাখা হয়েছে ৫০ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৫০০ টাকা। রয়েছে ‘গ্রাস মিনি আল্ট্রা লাক্স বক্স’। বিশেষ ভাবে তৈরি বাক্সে থাকছে চেজ স্টেডিয়ামের আসল ঘাস। দাম ২০০ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৮০০০ টাকা। রয়েছে ৩৫০ ডলারের ‘গ্র্যান বক্স’ এবং ৭৫০ ডলারের ‘আল্ট্রা বক্স’। ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম প্রায় ৩১,৪০০ ও ৬৭,৩০০ টাকা। শেষ দু’ধরনের বক্সে মেসি, সুয়ারেজ ছাড়াও রদ্রিগো ডি’পলের ছবি থাকবে। মেসির সঙ্গে এই দুই তারকাও এসেছিলেন ভারত সফরে। 

এদিকে, এএফসি নেশনস লিগ চালু করতে চলেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন। এএফসি জানিয়েছে, নেশনস লিগের মূল লক্ষ্য হবে ফিফা উইন্ডোগুলিকে যাতে সঠিক ভাবে ব্যবহার করা যায়। পাশাপাশি, সদস্য দেশগুলিকে আরও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেওয়া।