আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্রিকেট ও বলিউড চিরকাল হাত ধরাধরি করেই হেঁটেছে। হাল আমলের বিরাট-অনুষ্কার গল্প তো রয়েইছে।
কিন্তু কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকার সময়ে মহম্মদ আজহারউদ্দিন প্রেমে পড়েছিলেন বলি সুন্দরী সঙ্গীতা বিজলানির।
১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ থেকে ভারত ছিটকে যাওয়ার পরে গোটা দেশ আজহারের সঙ্গে সঙ্গে কাঠগড়ায় তোলে সঙ্গীতা বিজলানিকেও। অনেকটা অনুষ্কার মতোই। ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে মেগা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে সবাই কিন্তু অনুষ্কাকেই দুষেছিলেন। পরে কলকাতায় এসে বোমা ফাটান কোহলি।
ফিরে আসি আজহার ও সঙ্গীতার গল্পে। ১৬ বছর বয়সে মডেলিংয়ে জার্নি শুরু হয় সঙ্গীতার। দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত মিস ইউনিভার্সে যোগ দেন।
১৯৮৮ সালে সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেন সঙ্গীতা। তাঁর প্রথম ছবি কাতিল। সেই ছবিতে সঙ্গীতার নায়ক ছিলেন আদিত্য পাঞ্চালি। ত্রিদেব ও হাতিয়ার ছবিতে অভিনয় সঙ্গীতাকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। পরবর্তীকালে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও সেগুলো বক্স অফিসে হিট হয়নি।
অভিনয় জীবনের গোড়ার দিকে সেই ১৯৮৬ সালে সলমন খানের সঙ্গে পরিচয় হয় সঙ্গীতার। একটি টেলিভিশনের জন্য বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে দু'জনের প্রথম দেখা। এর পরেই তাঁদের নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। আট বছর ডেটিং করেন। সেই সময়ে সঙ্গীতা বিয়ে করবেন বলে স্থির করে ফেলেন সলমনকে। কিন্তু ভাগ্য অন্যরকম কিছু লিখে রেখেছিল। বিয়ের এক মাস আগে সঙ্গীতা জানতে পারেন সলমন খানের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে পাকিস্তানি মডেল-অভিনেত্রী সোমি আলির। প্রেমে ধোকা খাওয়া সঙ্গীতা দূরে সরে যান সলমনের থেকে।
এরপরে আজহারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সঙ্গীতা। আজ্জুর সংসারে ঝড় ওঠে। ততদিনে আজহার দুই সন্তানের বাবা। নৌরিনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে আজহারের। ১৯৯৬ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তৎকালীন ভারত অধিনায়ক। সঙ্গীতা বিজলানিকে বিয়ে করেন হায়দরাবাদি। এর জন্য শোনা যায় সলমন খান হুমকি দিয়েছিলেন আজহারকে।
সঙ্গীতাকে বিয়ে করার পরে আজহারের সময় ভাল যায়নি। তাঁর ফর্ম পড়তে থাকে, শুরু হয় অন্য টালবাহানা। ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে নাম জড়ায় আজহারের।
এই সবের মধ্যেই ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হন আজহার। তাঁর জীবনে আসেন অন্য এক মহিলা। ব্যাডমিন্টন তারকা জ্বালা গুট্টার সঙ্গে নাম জড়ায় আজহারের। ফলে সঙ্গীতার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। ২০১০ সালে সঙ্গীতার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে আজহারের।
কব্জির মোচড়ে অফসাইডের বল লেগসাইডে পাঠাতেন আজ্জু। কিন্তু তাঁর বৈবাহিক সম্পর্ক সুখের হয়নি। আজহার ও সঙ্গীতার সম্পর্ক নিয়ে এখনও চর্চা হয় ক্রিকেটমহলে।
