আজকাল ওয়েবডেস্ক: কুয়াশার জন্য বাতিল হয়ে গিয়েছে ভারত-দক্ষিণ চতুর্থ টি-২০ ম্যাচ। একটা বলও খেলা হয়নি। এমনকী টস করাও সম্ভব হয়নি। লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে এতটাই কুয়াশা এবং ধোঁয়াশা ছিল, খেলা শুরু করার মতো পরিস্থিতিই হয়নি। আগাম ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বছরের এই সময় ভারতের উত্তরাঞ্চলে ম্যাচ ফেলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের ম্যাচগুলো ফেলা হয়েছে চন্ডিগড়, ধর্মশালা, লখনউ, রাঁচি, রায়পুর, বিশাখাপত্তোনাম, কটক, আহমেদাবাদ, গুয়াহাটি এবং কলকাতাতে। নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে এইসব জায়গায় কুয়াশার একটা সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও লখনউ, চন্ডিগড়, ধর্মশালার মতো জায়গায় বছরের এই সময় দূষণের মাত্র বেড়ে যায়। ঘন কুয়াশার জন্য চতুর্থ টি-২০ ম্যাচ বাতিল করা হয়। একানা স্টেডিয়াম ঢেকে যায় কুয়াশার চাদরে। যার ফলে দৃশ্যমানতা কমে যায়।

বিসিসিআইয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, 'অতিরিক্ত কুয়াশার জন্য ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে চতুর্থ টি-২০ ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে।' বুধবার লখনউয়ে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স চারশোর বেশি ছিল। সার্জিক্যাল মাস্কে দেখা যায় হার্দিক পাণ্ডিয়াকে। এমন পরিস্থিতিতে লখনউয়ে ম্যাচ করা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলে ফ্যানরা। সন্ধে‌ সাতটায় খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাত সাড়ে ন'টায় ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তারমধ্যে ছ'বার পর্যবেক্ষণ হয়েছে। সাড়ে সাতটার মধ্যে ওয়ার্ম আপ সেশন শেষ করে ড্রেসিংরুমে ফেরে প্লেয়াররা। রাত ন'টার পর থেকে স্টেডিয়াম ফাঁকা হতে শুরু করে।

বোর্ডের সহ সভাপতি রাজীব শুক্লাকে মাঠে দেখা যায়। কিন্তু তাঁর শরীরীভাষায় হতাশা স্পষ্ট ছিল। রিজার্ভ ডে না থাকায় দুই দলই সিরিজের শেষ টি-২০ খেলতে আহমেদাবাদ উড়ে যাবে। সিরিজ ২-১ এ এগিয়ে ভারত। ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে নিউজিল্যান্ড সিরিজ। মনে করা হচ্ছে সেই সিরিজের ভেন্যুয়ের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের স্থানগুলো বদলে ফেলতে পারত বিসিসিআই। কারণ সবাই জানে, শীতকালে ভারতের উত্তর প্রান্তে শীতের একটা প্রভাব পড়ে। গত সপ্তাহে ধর্মশালায় অত্যন্ত ঠান্ডায় ম্যাচ খেলা হয়। যা প্লেয়ারদের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। বিসিসিআইয়ের অপারেশনস দলের ভেন্যু বাছাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই মনে করছে, এমন পরিস্থিতিতে অন্তত দুপুরে ম্যাচ রাখা উচিত ছিল। বোর্ডের এই কান্ডজ্ঞান মনোভাব মানতে পারছে না ক্রিকেট ভক্তরা।