আজকাল ওয়েবডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হার একসঙ্গে দু’টি প্রভাব ফেলেছে।
একদিকে সিরিজকে আবার জমজমাট অবস্থায় এনে দিয়েছে, অন্যদিকে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটেও কোচ গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।
ম্যাচের পর ভারতীয় ড্রেসিংরুমের ভিতরের একটি ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায় গম্ভীর ও টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়ার মধ্যে কথোপকথন চলছে।
ভিডিওতে স্পষ্ট অডিও না থাকায় কী কথা হয়েছে, তা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে দু’জনের শরীরী ভাষাই অনলাইনে নানা ব্যাখ্যা ও জল্পনার জন্ম দিয়েছে, ‘কোথায় ভুল হল’ তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের জন্য চাপের মুহূর্ত ছিল একাধিক। ২১৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ছন্দ খুঁজে পায়নি ভারতীয় ব্যাটিং।
বিশেষ করে হার্দিক পাণ্ডিয়ার ২৩ বলে ২০ রানের ইনিংসটি এসেছে এমন এক সময়ে, যখন ভারতীয় দলকে দ্রুত রান তুলতে হত। কিন্তু বড় শট আসেনি পাণ্ডিয়ার ব্যাট থেকে।
ফলে গতি পায়নি ইনিংসও। ম্যাচের বেশিরভাগ সময় ধরেই ব্যাটিং আটকে রইল দ্বিতীয় গিয়ারে। যা এই রান তাড়া করার ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষে মারাত্মক হয়ে উঠল।
এই ইনিংসটি আরও বেশি চোখে পড়েছে কটকের প্রথম ম্যাচের সঙ্গে তুলনায়। সেখানে হার্দিকের অপরাজিত ৫৯ রান (২৮ বলে) একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল এবং তিনি হয়েছিলেন ম্যাচের সেরা।
মাত্র দু’টি ম্যাচে একই খেলোয়াড়ের দু’টি সম্পূর্ণ বিপরীত চেহারা যার প্রতিফলন পড়েছে ভারতের ব্যাটিং পারফরম্যান্সেও। এই পরিস্থিতিতেই প্রশ্নের মুখে পড়ছেন গৌতম গম্ভীর।
কারণ কোচের মূল্যায়ন শুধু জয়-পরাজয়ের হিসেবেই হয় না, বরং দেখা হয় দলের কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে কিনা।
টি-টোয়েন্টিতে ভারতের রান-তোলার গতি থমকে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে এই ফরম্যাটে শুভমন গিলের উপর ভরসা রাখা নিয়েও।
বড় রান তাড়ায় গুরুত্বপূর্ণ তিন নম্বরে অক্ষর প্যাটেলকে কেন নামানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমর্থকরা। কয়েক মাস পর আসন্ন বিশ্বকাপের আগে দল কি সঠিক পথে এগোচ্ছে?
বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মতে, চলতি সিরিজে অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে সেই চিত্রটা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ এখন ১-১ সমতায়।
ভারতের সামনে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ। সিরিজের পরের ম্যাচটি হবে ধরমশালায়। গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট চাইবে দ্রুত সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে, যাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
