আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেদিকেই লক্ষ্য ভারতের। সেই কারণে কোয়াড্রিসেপের চোট সারিয়ে ওঠা হার্দিক পাণ্ডিয়াকে হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে খেলতে দেখা যাবে না।
ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা মাথায় রেখে জশপ্রীত বুমরাহকেও হয়তো প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে।
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে কোয়াড্রিসেপে চোট পেয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালে নামতে পারেননি তিনি। বিসিসিআই-এর একটি সূত্র পিটিআই-কে বলেছেন, ''কোয়াড্রিসেপের চোট ধীরে ধীরে সারিয়ে উঠছে হার্দিক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকেই পাখির চোখ করছে হার্দিক। বিসিসিআই-এর মেডিক্যাল টিমও হার্দিককে নিয়ে সেই দিকেই ফোকাস করছে।''
জাতীয় দলের জার্সিতে ফেরার আগে পাণ্ডিয়াকে নিজের ফিটনেসের পরীক্ষা দিতে হবে। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে বরোদার হয়ে খেলে হার্দিককে প্রমাণ করতে হবে তিনি ফিট। তার পরে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে দেখা যাবে পাণ্ডিয়াকে।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ভারত তিন ম্যাচের ওয়ানডে খেলবে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডে ম্যাচের গুরুত্ব সেভাবে নেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হবে ভারত। আইপিএলের পরে সিনিয়র ক্রিকেটাররা ২০২৭ বিশ্বকাপে ফোকাস করবে।
এদিকে প্রথম টেস্টে ভারতের ভরাডুবি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। স্পিনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের দুর্বলতা প্রকট হয়ে দেখা গিয়েছে।
১২৪ রান তাড়া করতে নেমে ৯৩ রানে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। ৩০ রানে হার মানে ভারত।
ভারতের প্রাক্তন অফস্পিনার হরভজন সিং তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, এই ধরনের পিচ দীর্ঘ ফরম্যাটের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। ভাজ্জির মত, বিরাট কোহলি ও শচীন তেণ্ডুলকররাও এই পিচে বাঁচতে পারতেন না।
ইডেনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেই ঐতিহাসিক টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছিলেন হরভজন। সেই প্রাক্তন অফস্পিনার বলছেন, ''টেস্ট ক্রিকেটের প্রয়াণ ঘটেছে। টেস্ট ক্রিকেটের আর কিছু বাকি নেই বলেই মনে হয়..বিশেষ করে ইন্ডিয়ান টেস্ট ক্রিকেটে। ইংল্যান্ডে খেলাগুলো ঠিকঠাক হয়েছে। ওখানে পিচের চরিত্র নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমাদের ছেলেদের প্রশংসা করেছি। সত্যিকারের ক্রিকেট বলতে যা বোঝায়, তাই হয়েছিল ইংল্যান্ডে। বল অপ্রত্যাশিতভাবে ঘুরেছে। কী করতে হবে, সেই ধ্যান ধারণাও ছিল না ব্যাটারদের কাছে। টেকনিক যত ভালই হোক না কেন---শচীন তেণ্ডুলকর বা বিরাট কোহলিও এই পিচে বাঁচত না। একটা বল হঠাৎই লাফিয়ে উঠেছে। আরেকটা গড়িয়ে যাচ্ছে। বল আচম্বিতেই এমন ঘুরেছে যে ব্যাটাররা আউট হয়ে গিয়েছে। এখানে স্কিলটাই সব নয়। পিচই সব স্থির করে দেয়। এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়। বেশ কয়েক বছর ধরেই এমন ঘটে চলেছে।''
ইডেন গার্ডেন্সে ভারত হার মানে ৩০ রানে। তিন ঘণ্টাও ব্যাট করতে পারেননি ভারতের তারকা ব্যাটাররা।
ভারতীয়দের মধ্যে ওয়াশিংটন সুন্দর সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন। শেষের দিকে অক্ষর প্যাটেল পাল্টা মারের খেলা শুরু করেন। দুটো ছক্কা হাঁকিয়ে বুকের উপরে চেপে বসা পাহাড়টা সরিয়ে নিয়েছিলেন প্রায়। কিন্তু শেষ মেশ তাঁর জন্য শেষ হাসি তোলা ছিল না।
