আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ২–২ ড্র টেস্ট সিরিজ। ওভালে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে পঞ্চম দিন জিতে গিয়েছে ভারত। জয়ের নায়ক মহম্মদ সিরাজ। সিরিজ শুরুর আগে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন সহ অনেকেই বলেছিলেন ইংল্যান্ড সিরিজটা ৩–০ বা ৩–১ ব্যবধানে জিতবে। এই ভবিষ্যদ্বাণী মেলেনি। 
কিন্তু সিরিজ ২–২ ড্র হল। এরপরই মাইকেল ভন সহ বাকিদের একহাত নিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন স্পিনার হরভজন সিং। ভারতীয় ক্রিকেটারদের তিনি ‘‌যোদ্ধা’‌ বলে অভিহিত করেছেন। 


নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভাজ্জি বলেছেন, ‘‌এটা ভারতের একটা বড় জয়। সিরিজ ২–২ হলেও। মাইকেল ভন সহ অনেক প্রাক্তনীই বলেছিলেন সিরিজটা ইংল্যান্ড ৩–০ বা ৩–১ ব্যবধানে জিতবে। আমি শুধু বলব নিজেদের দলের দিকে তাকান। ইংল্যান্ড ক্রিকেট কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে সেটা দেখুন। সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটাররা যে খেলাটা খেলল তার প্রশংসা করুন।’‌


হরভজন আরও বলেছেন, ‘‌অবিশ্বাস্য একটা টেস্ট ম্যাচ হল। ভারত যেভাবে জিতল তা এককথায় দুর্দান্ত। এই জয়টা টিম ইন্ডিয়ার প্রাপ্য ছিল। দলটা যখন ইংল্যান্ড গিয়েছিল তখন অনেকেই বলেছিল জুনিয়র দল। সেভাবে দলে কোনও সিনিয়র নেই। কিন্তু দেখুন তরুণ দলটাই যে ইতিহাস তৈরি করে ফেলল।’‌ 
এদিকে ওভালে জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তালিকায় এক ধাপ উঠে এসেছে ভারত। সরিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে।

 

আরও পড়ুন:‌ ‘সেনা-জওয়ানরা তো ওয়ার্কলোডের অভিযোগ করেন না’, ওভাল জয়ের পর সিরাজকে উদাহরণ রেখে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য গাভাসকারের


শুভমন গিলের দল এখন রয়েছে তিন নম্বরে। ওভালে জিতে ১২ পয়েন্ট পেয়েছে ভারত। এই টেস্টের আগে তিনে ছিল ইংল্যান্ড। তারা নেমে গিয়েছে চারে।
ভারত এবং ইংল্যান্ড, দুটো দলের কাছেই এটা পরবর্তী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সিরিজ ছিল। দুই দলই দুটো করে ম্যাচ জিতেছে। একটি ড্র হয়েছে। তবে লর্ডসে মন্থর ওভার রেটের কারণে আইসিসি ইংল্যান্ডের দু’পয়েন্ট কেটে নিয়েছে। তাই ভারতের নীচে চলে গিয়েছে তারা।


আপাতত পাঁচ টেস্টে ভারতের ২৮ পয়েন্ট। শতাংশের বিচারে পয়েন্ট ৪৬.৬৭। ইংল্যান্ডের ২৬ পয়েন্ট এবং পয়েন্ট শতাংশ ৪৩.৩৩। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিনটে টেস্টেই হারানোর কারণে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। তাদের ৩৬ পয়েন্ট। পয়েন্ট শতাংশ ১০০। দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কা। তাদের পয়েন্ট শতাংশ ৬৬.৬৭।


পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ (পয়েন্ট শতাংশ ১৬.৬৭) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ (০)। নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন চক্রে এখনও কোনও টেস্ট খেলেনি।

এদিকে, চতুর্থ দিনে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ফেলেছিলেন সিরাজ। সমালোচনা ধেয়ে এসেছিল তাঁর দিকে। প্রাক্তনদের তীব্র সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন সিরাজ। সেই সিরাজ এদিন প্রায়শ্চিত্ত করলেন। ক্রিকেট বারবার সুযোগ দেয় না। এক বলের খেলা ক্রিকেট। সেখানে ক্রিকেট আরও একটা সুযোগ দিয়েছিল সিরাজকে। হায়দরাবাদি তারকা সেই সুযোগ দু'হাতে লুফে নেন। ওভালে নিজেকে নিংড়ে দিলেন। তিরিশ ওভার হাত ঘুরিয়ে পাঁচ-পাঁচটি উইকেট নিলেন। পঞ্চম দিনের শুরুতে উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সাজঘরে জোরালো ধাক্কা দিয়েছিলেন  তিনি। ইংল্যান্ডের শেষটাও হল তাঁরই হাতে।