আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওয়াসিম আক্রমের রিভার্স সুইংয়ের জবাব ছিল না ব্যাটারদের কাছে। ছ'টা ডেলিভারি ছ'রকম করতে পারতেন তিনি। শর্ট রান আপে ব্যাটারের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিতেন তিনি। কেরিয়ারের মধ্য গগনে যখন বিরাজ করছেন আক্রম, সেই সময়ে ডায়াবেটিস ধরা পড়ে আক্রমের। শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে বড় ধাক্কা। কিন্তু তিনি তো ওয়াসিম আক্রম। শারীরিক ও মানসিক সমস্যা নিয়ে ওয়াসিম আক্রম খেলে গিয়েছেন। তাঁর সমস্যার কথা বুঝতেও পারেননি কেউই।
Best batsman? ????
— Stick to Cricket (@StickToCricket)
Favourite bowling partner? ????
Best stadium? ????️
Wasim Akram takes on our quickfire questions! ???? pic.twitter.com/YBlzlPCScRTweet by @StickToCricket
এহেন আক্রম কাকে বল করতে ভয় পেতেন? শচীন? লারা? রিকি পন্টিং? আক্রমের রাতের ঘুম কেড়ে নিতেন কে? ‘স্টিক টু ক্রিকেট’ পডকাস্টে আক্রম বলেছেন, ''খুব কঠিন প্রশ্ন। কাউকে বেছে নিতে হলে আমি বলব নিউজিল্যান্ডের মার্টিন ক্রোর নাম। আমাদের বিরুদ্ধে মার্টিন ক্রো অনেক রান করেছে। বিশেষ করে সেই সময়ে যেখানে রিভার্স সুইং সম্পর্কে কেউ কিছুই জানত না।''
আরও পড়ুন: ‘আমরা আর ভিক্ষা করব না’, এশিয়া কাপের আগে নতুন করে নাটক শুরু করল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড...
১৯৯৭ সালে ‘টাইপ ওয়ান’ ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তাঁর। ওজন কমে যাচ্ছিল। চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। সব সময়ে তেষ্টা পেত। বহুবার বাথরুম যেতে হত। তখন থেকেই নিয়মিত ইনসুলিন নিতেন তিনি। এহেন আক্রম মনে করেন মার্টিন ক্রো রিভার্স সুইং আগে থেকে পড়তে পারতেন। আক্রম ও ওয়াকার ইউনিসকে বেশ ভাল ভাবে সামলেছেন মার্টিন ক্রো।
ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরে সঙ্গে ইনসুলিন রাখার জন্যই অপদস্থ হতে হয়েছিল কিংবদন্তি ফাস্ট বোলারকে! সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছিলেন, ''ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরে খুব কষ্ট পেয়েছি। ইনসুলিন সঙ্গে নিয়ে সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়াই। কিন্তু কখনও এর জন্য অপদস্থ হতে হয়নি আমাকে। অভদ্রভাবে আমাকে প্রশ্ন করা হয়। সবার সামনে ইনসুলিন বের করে প্লাস্টিকের ব্যাগে ফেলে দিতে বলা হয়।'' আক্রমের সেই টুইটে নড়েচড়ে বসেছিল ম্যানচেস্টার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তারা ক্ষমা চান আক্রমের কাছে।
এত রকমের সমস্যা নিয়েও আক্রম কিন্তু বল হাতে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর বলে রান নেওয়া খুব কঠিন ছিল। ২০০৩ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন শচীন তেণ্ডুলকর। তিনি আগেই ফেরাতে পারতেন মাস্টার ব্লাস্টারকে। আবদুল রজ্জাককে পনেরো গজি বৃত্তের মধ্যে রেখেছিলেন। আক্রমের কথা না শুনে রজ্জাক এগিয়ে আসেন। শচীন পরের বলেই ক্যাচ তোলেন। কিন্তু রজ্জাক এগিয়ে আসায় ক্যাচ ধরতে পারেননি। তখন হতাশ আক্রম বলে ওঠেন, ''তুই কার ক্যাচ ছেড়েছিস জানিস?'' সেই আক্রম কিন্তু শচীনের নামই নিলেন না।
আসন্ন এশিয়া কাপের ভারত-পাক ম্যাচ নিয়েও আক্রম মন্তব্য করেছেন সম্প্রতি। তিনি বলেন, ''এই ম্যাচগুলো দুর্দান্ত হবে বলেই আমি বিশ্বাস করি। বিনোদনের উপকরণ থাকবে। তবে দু'দেশের সমর্থকদের কাছে অনুরোধ তারা যেন সীমা অতিক্রম না করে। শৃঙ্খলাপরায়ণ থাকে।''
আরও পড়ুন: কেরলে মেসিদের প্রতিপক্ষ কোন দল? ২০ কিমি রোড শোয়ের আয়োজন, যুবরাজ-বরণের জন্য তৈরি হচ্ছে কেরল...
