আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্যাট হাতে অভিষেক শর্মা মানেই ঝড়। এবারের এশিয়া কাপে এখনও পর্যন্ত তিনিই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তাঁর ঠিক পিছনেই রয়েছেন পাকিস্তানের ফারহান। বুধবার সুপার ফোরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩৭ বলে ৭৫ রান করেন অভিষেক। তাঁকে নিয়ে প্রশংসা হচ্ছে সর্বত্র। এবার ওয়াঘার ওপার থেকেও ভারতের বাঁ হাতি ওপেনারকে নিয়ে ভেসে এল প্রশংসা।
এবার পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক মিসবা উল হক ভারতের বিধ্বংসী ওপেনার অভিষেক প্রসঙ্গে বলছেন, ''ওর দক্ষতা ও মানসিকতা এককথায় দুর্দান্ত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম বার খেলতে নেমেছেন। ওকে দেখে মনেই হয়নি চাপে রয়েছে। মনে হচ্ছিল অভিষেক বোধহয় নেটে খেলছে। ওর অঞ্চলে বল পড়লে, তা সরাসরি উড়িয়ে দেয়।''
আরও পড়ুন: ভারতের সুসময়ে সূর্যকে নিয়ে হঠাৎই মহাবিতর্ক, পাকিস্তানের নালিশে নিষিদ্ধ করা হবে ভারত অধিনায়ককে? ...
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম বলেই ছক্কা মেরেছিলেন অভিষেক। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের শুরুটা খুব ধীর লয়ে হয়েছিল। প্রথম তিন ওভারে সব থেকে মন্থর শুরু। কিন্তু তার পরে অভিষেক ঝড় তোলেন। বাংলাদেশের বোলারদের মাঠের যত্রতত্র ছুড়ে ফেলেন। মিসবা পাক ম্যাচের প্রসঙ্গ উত্থাপ্পন করে বলছেন, ''সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, বিপক্ষের সেরা বোলারকে আক্রমণের রাস্তা নেয় অভিষেক। গোটা দলের উপরই তার প্রভাব পড়ে।''
অভিষেকের এই বিধ্বংসী ব্যাটিং কেবল অন্ধ ভাবে মারা নয়। ম্যাচের পরিস্থিতি নিয়ে সম্পূর্ণ অবগত ভারতের তারকা বাঁ হাতি ওপেনার। প্রতিপক্ষের ফিল্ডিং পজিশন সম্পর্কেও তাঁর ধারণা পরিষ্কার। মিসবা বলছেন, ''ফাস্ট বোলারদের আসল অস্ত্রই হল লেন্থ। কিন্তু উইডথ দিলেই শাস্তি দেয় অভিষেক। শাহিন লেন্থে বল করার চেষ্টা করেছে। সেগুলোকে সম্মান দিয়েছে অভিষেক। কিন্তু বল শর্ট পড়লে বা ফুল লেন্থে বল ফেললে সেগুলোকে পত্রপাঠ বাউন্ডারিতে পাঠিয়েছে।''
বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল ওপেন করতে নেমে তাণ্ডব চালান। যেভাবে অভিষেক শর্মা শুরু করেছিলেন, তাতে একসময়ে মনে হয়েছিল ভারত বোধহয় দুশোর গণ্ডি অতিক্রম করবে। কিন্তু অভিষেক শর্মা ফিরে যাওয়ার পরে ভারতের রান তোলার গতি কমে যায়। শেষ পর্যন্ত ভারত থামে ১৬৮ রানে।
শ্রীলঙ্কাকেও ১৬৮ রানে আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি বাংলার বাঘেদের। কিন্তু এই ভারতের বোলারদের বিরুদ্ধে একমাত্র রুখে দাঁড়ালেন সইফ হাসান। বাকিরা এলেন আর গেলেন। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ভারতের বোলাররাও কিন্তু নজর কাড়ছেন। ভারতের হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের রাতের ঘুম কাড়তে পারে সূর্যকুমার যাদবদের ফিল্ডিং। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক ক্যাচ পড়ে। বুধবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও একাধিক ক্যাচ ফেলেন ভারতের ফিল্ডাররা। ক্যাচগুলো ধরতে পারলে আরও কম রানে হয়তো শেষ হয়ে যেত বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: 'আকাশ ভেঙে পড়ছে,' ক্রমাগত ব্যর্থতায় সূর্যকে কটাক্ষ সানির
