আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৈভব সূর্যবংশিকে অবিলম্বে সিনিয়র জাতীয় দলে নেওয়ার আর্জি জানালেন কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত। শচীন তেন্ডুলকরের সঙ্গে তুলনা করেন কপিল দেবের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। একসময়ের মারকুটে ক্রিকেটার মনে করেন, জাতীয় নির্বাচকদের একটু সাহস দেখানো উচিত। বৈভবের পাশে দাঁড়ানো উচিত। বয়সের তুলনায় ইতিমধ্যেই যথেষ্ট পরিণত বিহারের তরুণ ক্রিকেটার। ফর্মের শিখরে আছেন। এখন সময় নষ্ট না করে, অবিলম্বে তাঁকে সুযোগ দেওয়ার আর্জি জানান শ্রীকান্ত। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে তাঁর যাত্রা তুলে ধরেন। তাঁর মতে, ঠাণ্ডা মাথার বৈভব টেকনিকে যেমন দক্ষ, তেমন মেজাজে বিধ্বংসী। অনেকটা শচীনের মতো। যার মাত্র ১৬ বছর বয়সে জাতীয় দলে অভিষেক হয়। 

অভিজ্ঞ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অনায়াসে রান করতে পারেন। উচ্চপর্যায়ের ক্রিকেটের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিয়েছেন। চাপের মুখে খেলতে পারেন। সম্প্রতি লিস্ট এ ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে রেকর্ড করেন। বিজয় হাজারেতেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। মাত্র ৮৪ বলে ১৯০ রান করেন। ১৫টি ছক্কার মাধ্যমে মাত্র ৩৬ বলে শতরান সম্পূর্ণ করেন। এরপরই সরব হন শ্রীকান্ত। বোর্ডকে দ্রুত নড়েচড়ে বসার অনুরোধ জানান। বিভিন্ন ফরম্যাটে একটানা ধারাবাহিকতার কথা তুলে ধরেন। একইসঙ্গে দাবি করেন, বড় চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি বৈভব। 

শ্রীকান্ত বলেন, 'বৈভব সব জায়গায় শতরান করছে। সেটা আইপিএল হোক, অনূর্ধ্ব-১৯ হোক বা অন্য কোনও টুর্নামেন্ট। আপনি বলতে পারেন, সেটা অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে। তবে সেটা আলাদা গল্প। এই ছেলেটা সবধরনের ক্রিকেটে প্রত্যেক বোলারকে পেটাচ্ছে। আমি আগের বছরও বলেছিলাম, দ্রুত ওকে টি-২০ বিশ্বকাপের দলে ঢোকানো উচিত। সেটা হয়ত এখন দেরি হয়ে গিয়েছে। তবে দ্রুত তাঁকে সুযোগ দেওয়া উচিত। ও খুবই প্রতিভাবান। শীঘ্র ভারতীয় দলে খেলা উচিত।' 

পরিসংখ্যান খুবই ভাল। ১৫টি একদিনের ম্যাচে গড় ৫১.১৩। তারমধ্যে রয়েছে দুটি শতরান এবং তিনটি অর্ধশতরান। স্ট্রাইক রেট ১৫৮.৭৯। অনেকেই বলছে, আরও কিছুদিন খেলুক। কিন্তু তার সঙ্গে একমত নন চিকা। শচীনের সঙ্গে তুলনা টেনে বলেন, 'অনেকে বলছে ওকে আরও কিছুদিন খেলতে দিন। শচীনও খুবই অল্প বয়েসে খেলেছে। প্রত্যেক পর্যায় একশো করার পর ও ভারতের হয়ে খেলেছে। সাদা বলের ক্রিকেটে বৈভবের ক্ষেত্রেও তেমন করা যেতে পারে।' সম্প্রতি পরপর শতরান করেন ১৪ বছরের বিস্ময় বালক। তারপরই সূর্যবংশীর হয়ে জোরাল সওয়াল করেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা।