আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফেডারেশনকে একহাত নিলেন বাইচুং ভুটিয়া। আইএসএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যাওয়ায়। টুর্নামেন্টের আয়োজক ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড অর্থাৎ এফএসডিএলের তরফ থেকে ক্লাবগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০২৫–২৬ মরশুমের আইএসএলকে আপাতত স্থগিত রাখছে তারা। কারণ, এফএসডিএলের সঙ্গে এআইএফএফের চুক্তি মাস্টার্স রাইট এগ্রিমেন্ট অর্থাৎ এমআরএ নবীকরণ নিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা তাদের কাছে নেই। ভারতীয় ফুটবলের এই অবস্থায় উদ্বিগ্ন ফুটবলার থেকে সমর্থকরা। দুশ্চিন্তায় প্রাক্তন ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়াও। আগে কী করলে সমস্যার সমাধান হতে পারত, সেটার ইঙ্গিত দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয় ফুটবলের দুরবস্থার ঘটনা তুলে ধরে আইএসএলকেও কটাক্ষ করলেন কিংবদন্তি ফুটবলার।
সমস্যা কিন্তু শুধু চুক্তি নিয়ে নয়। ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সবাই এই মুহূর্তে তাকিয়ে রয়েছে শীর্ষ আদালতের দিকে। ফেডারেশনের নির্বাচন, সংবিধান রচনা, আইএসএল–সহ নানা বিষয়ে সমাধানের জন্য সবাই তাকিয়ে আদালতের দিকে। শীর্ষ আদালত থেকে অনেক আগেই কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বাধীন ফেডারেশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, এফএসডিএলের সঙ্গে আলোচনায় না বসতে। ফলে এফএসডিএলের সঙ্গে চুক্তি বৃদ্ধি নিয়ে কারা বসবেন, কবে বসবেন–সব কিছুই নির্ভর করছে শীর্ষ আদালতের রায়ের উপর। এখানেই বাইচুং বলছেন, এই সমস্যা হওয়া উচিতই ছিল না। তিনি বলছেন, ‘অনূর্ধ্ব ১৭ মহিলাদের বিশ্বকাপের পরই সংবিধান ও নির্বাচন ঘোষণা করা যেত, তাহলে আমার মনে হয় এত সমস্যা হত না। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই নির্বাচন ও সংবিধানের মাধ্যমে নতুন কমিটি তৈরি করা দরকার।’ তার সঙ্গে ভারতীয় ফুটবলের সার্বিক দুরবস্থার কথাও বলছেন তিনি। বাইচুংয়ের বক্তব্য, ‘আমি আইএসএলে খেলিনি। কিন্তু যখন ১৪ দল খেলত, তখন আমরা এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করেছি। এখন ২৪ দল খেলে, তবু আমরা যোগ্যতা অর্জনের লড়াই করে যাচ্ছি। প্রায় ১৫ বছর হল আমি অবসর নিয়েছি। এখনও সুনীল ছেত্রীর পর নতুন স্ট্রাইকার উঠে আসেনি। যখন অবসর নিয়েছিলাম, তখন ভারতের র্যাঙ্কিং ছিল ১০০–র নীচে, এখন আমরা ১৩৩।’ বাইচুংয়ের কথায়, ‘আইএসএল থেকে কেউ কিছু পায়নি। এফএসডিএল বলছে, আমরা প্রচুর টাকা ক্ষতি করেছি। আইএসএলের ক্লাবগুলো বলছে, প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করেছি। আর ভক্তরা কাঁদছে, আমাদের ফুটবলটা হারিয়ে গেল।’ কিন্তু কী সমস্যা? বাইচুংয়ের বক্তব্য, ‘আমাদের ফুটবলের সার্বিক কাঠামোয় বড়সড় গলদ আছে। আমি বহুদিন ধরেই সেটা বলছি। এফএসডিএল, এআইএফএফ ও বাকিরা যেন তাড়াহুড়ো করে ভুল চুক্তি না করে। তাতে যদি কয়েকমাস দেরিও হয়, কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু আমি নিশ্চিত সঠিক কাঠামো তৈরি হবে। যেখানে সবাই লাভবান হবে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে ভারতীয় ফুটবল।’
আরও পড়ুন: নেপাল অনুশীলন করবে ভারতে, লক্ষ্য ২০২৬ বিশ্বকাপ
এটা ঘটনা মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল দুই ক্লাবেই চুটিয়ে খেলেছেন বাইচুং। বড় ম্যাচে রয়েছে একাধিক গোল। কখনও মোহনবাগানের হয়ে। তো কখনও ইস্টবেঙ্গলের হয়ে। তিনি ছিলেন পাহাড়ি বিছে। বক্সের সামনে বল পেলেই হয়ে যেতেন ভয়ঙ্কর। সেই বাইচুং এবার ফেডারেশনকে করলেন কটাক্ষ।
