আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতে অনুশীলন করবে নেপাল ক্রিকেট দল। এটা ঘটনা, ২০২৬ সালে ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মাটিতে বসতে চলেছে টি২০ বিশ্বকাপের আসর। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাছাই পর্বের প্রস্তুতি ভালভাবে নেওয়াই লক্ষ্য নেপালের। আর ভারত সরকার ফের একবার পড়শি দেশের সাহায্যে এগিয়ে এল। জানা গিয়েছে, তারা ট্রেনিং নেবে বেঙ্গালুরুর বিসিসিআইয়ের সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে।
২০ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই প্রশিক্ষণ শিবির। দুই দেশের তরুণদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ভারত সরকারের সহযোগিতায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অতীতেও নেপালের পুরুষ দল ভারতে অনুশীলন করেছিল। গত বছরের আগস্টে এই বেঙ্গালুরুতেই প্র্যাকটিস করেছিল তারা। বরোদা এবং গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে একটি ত্রিপাক্ষিক সিরিজও খেলেছিল তারা।
ভারত সরকারের এক শীর্ষ কর্তা পিটিআইকে বলেছেন, ‘ক্রিকেট দুই দেশের মধ্যে শতাব্দীপ্রাচীন সম্পর্কে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দুই দেশেরই ক্রিকেটের প্রতি গভীর আবেগ রয়েছে। যা তরুণদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে সাহায্য করবে।’ উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর নেপালের পুরুষ দল এবং তাদের ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সেই সময় নেপালের ক্রিকেটের উন্নয়নে ভারত সব সময় পাশে থাকবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
এরপর মার্চে নেপালের অনূর্ধ্ব–১৯ দল, দিল্লি ও জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ডিডিসিএ)–এর মধ্যে একটি প্র্যাকটিস টুর্নামেন্ট আয়োজন করে ভারত। কয়েক মাস পরে নেপালের মহিলা দল থাইল্যান্ডে এশিয়া বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্রস্তুতির জন্য দিল্লিতে একটি প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালনা করে, যেখানে তারা ফাইনালে পৌঁছায়। উল্লেখ্য, কেবল নেপাল নয়, বিশ্ব ক্রিকেটে আফগানিস্তানের উত্থানের পিছনেও রয়েছে ভারত। রশিদ খানরা গ্রেটার নয়ডার শহিদ বিজয় সিং পথিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স, ধরমশালা–সহ ভারতের আরও কয়েকটি স্টেডিয়ামকে তাদের হোম গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করেছে। আর এবার টি২০ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের প্রস্তুতি বেঙ্গালুরুতে সারবে নেপাল ক্রিকেট দল।
এদিকে প্রশ্ন উঠেছে এশিয়া কাপ নিয়ে। কোনও নিশ্চয়তা নেই। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মাটিতে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা। যদিও পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার পর থেকে এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ এখন বিশ বাঁও জলে। কারণ, পাকিস্তান ভারতে এসে খেলুক, এ ব্যাপারে এখনও কোনও সবুজ সঙ্কেত দেয়নি ভারত সরকার। এই পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে, এশিয়া কাপ না হলে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক বাজেট অনুযায়ী ২০২৪–২৫ অর্থ বছরে তাদের মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৮.৮ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৫৬৮ কোটিরও বেশি। এর মধ্যে শুধু আইসিসি ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল থেকে পিসিবি’র অংশ হিসেবে ধরা হয়েছে প্রায় ৮.৮ বিলিয়ন রুপি। ভারতীয় মুদ্রায় যা ২৬৫ কোটি টাকারও বেশি।
তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, আইসিসি থেকে ২৫.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৭.৭ বিলিয়ন রুপি) পাওয়ার আশায় রয়েছে তারা। একই সঙ্গে এশিয়া কাপ হলে সেখান থেকে পাকিস্তানের আয় হবে ১.১৬ বিলিয়ন রুপি। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। তাছাড়াও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সিরিজ থেকে ৭.৭৭ মিলিয়ন রুপি আয় হওয়ার কথা পিসিবি’র।
