আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিরাট কোহলি বনাম শচীন তেণ্ডুলকর। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন বোলার স্টিভ হার্মিসন ফের উসকে দিলেন সেই তর্ক। শচীনের আগে তিনি রাখলেন বিরাট কোহলিকে। হার্মিসনের যুক্তি, কোহলি বিপুল নজরদারির মধ্যে খেলেছে। সাফল্য পাওয়ার খিদে, আধুনিক ক্রিকেটের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং  ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষমতা কোহলিকে কিংবদন্তি শচীনের থেকেও আলাদা করে তুলেছে।

হার্মিসন বলছেন, ''আমি শচীন তেণ্ডুলকরের আগে বিরাট কোহলিকে একনম্বরে রাখতে চাই। আর এর ফলে অনেকেরই ভ্রু কুঞ্চিত হতে পারে। ক্রিকেট খেলাটাই গত দশ বছরে ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। বিরাট নিজেকেও অনেক পরিবর্তন করেছে। গত ২০-৩০ বছরের কথাই যদি ধরা হয়, তাহলে আমি সবার আগে বিরাট কোহলিকেই রাখব।'' 

আরও পড়ুন: জাতীয় দলে কি প্রত্যাবর্তন সম্ভব? বাদ পড়ার পর কী জানালেন সামি? ...

হার্মিসন ভারতের তারকা কোহলিকে একনম্বরে রাখলেও, ২০২৭ বিশ্বকাপে তাঁকে আদৌ পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সন্দেহ। ক্রিকেট ব্যক্তিত্বরা নিজেদের মতামত জানাচ্ছেন। 

একদিনের দলে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সফরে সুযোগ পেলেও ২০২৭ বিশ্বকাপে দুই মহাতারকার খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এবার বিসিসিআই এবং নির্বাচক কমিটির সিদ্ধান্তকে সমর্থন রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। দুই এককালীন সতীর্থকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন। নিজের ইউ টিউব চ্যানেলে অশ্বিন জানান, ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে বিশ্বকাপের রাস্তা খোলা রাখা উচিত রোহিত এবং বিরাটের। অধিনায়ক হিসেবে রোহিতের স্বীকৃতিকে কুর্নিশ জানান। টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পর ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতেন। কিন্তু জাতীয় নির্বাচকদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সমর্থনে প্রাক্তন তারকা।
নিজের ইউ টিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেন, ''রোহিতের অধিনায়কত্ব নিয়ে আলাদা কিছু বলার নেই। কিন্তু ও কি ২০২৭ বিশ্বকাপের দিকে এগোচ্ছে? এই প্রশ্ন নির্বাচক কমিটি এবং কোচ করবেই। অবশ্যই ওরা এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছে। প্রথমত, কোহলি এবং রোহিত আমাদের ২০২৭ বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় নেই। দ্বিতীয়ত, যদি তাঁদের দলে নেওয়াই হয়, তাঁরা কি ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিজেদের ফর্ম ধরে রাখতে পারবে? দুটোই বড় প্রশ্ন।'' অশ্বিন মনে করেন, ভারতীয় এ দল বা বিজয় হাজারেতে খেললে, তাঁদের ছন্দ ধরে রাখতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে তাঁদের দায়বদ্ধতারও পরিচয় দেবে। অশ্বিন বলেন, ''ওদের সার্ভিস পেতে হলে, একটা উপায় বের করতে হবে। ওদের সেই সুযোগ দিতে হবে। ওদের সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও যদি ওরা না বলে, তাহলে অন্য বিষয়। নির্বাচক বা কোচ যদি ওদের কোনও সিরিজে খেলতে বলে, সেটা ওদের খেলা উচিত। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার জন্য নয়, নিজেদের ছন্দে রাখতে।''

আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে কবে ভারত? প্রকাশ্যে এল দিনক্ষণ