আজকাল ওয়েবডেস্ক: অ্যাশেজের প্রথমদিন ২০ উইকেট। দুই দলই ভরাডুবির মুখে পড়ে। উত্তর খোঁজে দুই দলের ব্যাটাররা। দিনের শুরু থেকেই পরিবেশ এবং পরিস্থিতি ব্যাটারদের বিরুদ্ধে ছিল। বলে মুভমেন্ট ছিল। স্বাভাবিক শট খেলতে পারেনি ব্যাটাররা। ছন্দপতন ঘটে। এমনকী সেট ব্যাটাররা বাউন্স সামলাতে হিমসিম খায়। ক্রমাগত উইকেটে সিম মুনমেন্ট ছিল। স্কোরকার্ড থেকে যা স্পষ্ট। সারা দিনে একটাও অর্ধশতরান হয়নি। সাধারণত মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের পিচে ভারসাম্য থাকে। বোলারদের পাশাপাশি ব্যাটারদেরও সাহায্য করে। কিন্তু এদিন সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতি হয়।
চতুর্থ টেস্টের প্রথমদিন ২০ উইকেট পড়ায় এমসিজির পিচের সমালোচনা করেন অ্যালিস্টার কুক। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৫২ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। সর্বোচ্চ রান মাইকেল নেসেরের (৩৫)। বল হাতে ৪ উইকেট নেন। ৩ উইকেট নেন স্কট বোল্যান্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান হ্যারি ব্রুকের। ৪১ রান করেন। তারপর ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১১০ রানে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। দুই দলই মুড়ি মুরকির মতো উইকেট হারায়। এমসিজির পিচ নিয়ে সমালোচনা মুখর হন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক। দাবি করেন, টেস্ট বোলারদের দিকে অতিরিক্ত ঝুঁকে। কুক বলেন, 'এটা আহামরি টেস্ট উইকেট নয়। যদি না দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ দিন পিচ কিছুটা পাটা হয়। তবে যদি ততদিন পর্যন্ত টেস্ট গড়ায়। এই উইকেট পুরোপুরি বোলারদের জন্য। উইকেট পেতে সেইভাবে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়নি বোলারদের।'
দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার রান ৪। ৪৬ রানে এগিয়ে। প্রথমদিন ২০ উইকেট পড়লেও, কিছুটা এগিয়ে অজিরাই। কুক মনে করেন, দুই দলেরই আরও ভাল ব্যাট করা উচিত ছিল। তবে পরের মুহূর্তেই জানান, এমন পরিস্থিতিতে ব্যাট করা কঠিন। কুক বলেন, 'দুটো দলই কি একটু ভাল ব্যাট করতে পারত? তবে বল সঠিক জায়গায় রাখলে উইকেট পড়ার সম্ভাবনা থাকেই। বোলারদের উইকেট। আমি বোল্যান্ডকে দেখছিলাম। আমি জানি না কিভাবে ওর বলের মোকাবিলা করা সম্ভব। বাঁ হাতিদের বিরুদ্ধে অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট বল করছিল। স্ট্যাম্প আক্রমণ করছিল। ডান হাতি হিসেবে আমিও জানি না ওকে কিভাবে সামলাতাম। দ্বিতীয় দিন পিচ তুলনায় কিছুটা পাটা হতে পারে। তবে মাঠকর্মীরা তেমন কোনও আশ্বাস দিতে পারেনি।' এমসিজির সমালোচনা করেন আরেক প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভনও।
