আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর সিরিজ ২-২ এ ড্র হয়। কিন্তু সেই অর্থে দেখলে আধিপত্য বেশি ছিল টিম ইন্ডিয়ার। ইংল্যান্ডের ২১ সেশনের তুলনায় ভারত ৩৩টি সেশনে বাজিমাত করে। ১৮টি সেশন ভাগ হয়ে যায়। লাল বলের সাফল্যের পর এবার টি-২০ তে অগ্নিপরীক্ষার মুখে টিম ইন্ডিয়া। তবে টেস্টে খেলা একাধিক প্লেয়ারকে পাওয়া যাবে না এশিয়া কাপে। একঝলকে দেখে নেওয়া যাক কাদের পাওয়া যাবে না। 

যশপ্রীত বুমরা‌ 

ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র তিনটে টেস্টে খেলেছেন। একই কারণে তাঁকে এশিয়া কাপে বিশ্রাম দেওয়া হবে। তিন টেস্টে মোট ১৪ উইকেট তুলে নেন বুমরা। গড় ২৬। আইপিএলেও ছন্দে ছিলেন। ১৮ উইকেট তুলে নেন। সেরা ২২ রানে ৪ উইকেট। ইকোনমি রেট ৬.৬৮। আগামী বছরের শুরুতেই ঘরের মাঠে টি-২০ বিশ্বকাপ। তার কথা ভেবে তাঁকে এশিয়া কাপে খেলানো হবে না। 

কেএল রাহুল

এশিয়া কাপে পাওয়া যাবে না রাহুলকে। ২০২২ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে শেষ টি-২০ ম্যাচ খেলেন। তারপর থেকে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের দলে নেই। তবে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আইপিএলে ছন্দে ছিলেন। ৫৩৯ রান করেন। স্ট্রাইক রেট ১৫০ এর কাছাকাছি। গড় ৫৩.৯। এই ফর্ম সত্ত্বেও প্রথম উইকেটকিপার হিসেবে সঞ্জু স্যামসনকে রাখা হবে। দ্বিতীয় কিপার হিসেবে ধ্রুব জুরেল বা জীতেশ শর্মা থাকবে। 

যশস্বী জয়েসওয়াল 

এশিয়া কাপের দলে সম্ভবত থাকবেন না যশস্বী জয়েসওয়াল।‌ বর্তমানে দলীপ ট্রফিতে পশ্চিমাঞ্চলের হয়ে খেলার কথা রয়েছে তাঁর। যার ফলে এশিয়া কাপে খেলতে পারবেন না। ২০২৫ আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের অন্যতম সফল ব্যাটার ছিলেন। ১৪ ম্যাচে ৫৫৯ রান করেন। ইংল্যান্ড সিরিজে ছন্দে ছিলেন। জোড়া শতরান করেন। একাধিক রেকর্ডের মালিক হন। ভেঙে দেন সুনীল গাভাসকরের দীর্ঘদিনের রেকর্ড।

শুভমন গিল

অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির সেরা ব্যাটার‌‌ নিঃসন্দেহে শুভমন গিল। সিরিজে ৭৫০ রানের বেশি করেন। দলীপ ট্রফির জন্য তিনিও এশিয়া কাপ মিস করবেন। নর্থ জোনের অধিনায়ক ঘোষণা করা হয় তাঁকে। টি-২০ তে ওপেন করেন অভিষেক শর্মা এবং সঞ্জু স্যামসন। সেই কারণেও গিলের খেলার সম্ভাবনা নেই।

ঋষভ পন্থ

চতুর্থ টেস্টে ডান পায়ের পাতা ভাঙে পন্থের। পঞ্চম টেস্টে খেলতে পারেননি। এশিয়া কাপের আগে তিনি ফিট হবেন না। টি-২০ বিশ্বকাপের পর ভারতের টি-২০ দল থেকে বাদ পড়েন ঋষভ। আইপিএলেও একেবারেই ছন্দে ছিলেন না। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে ১১৮ রান করেন। কিন্তু বাকি ১৩ ম্যাচে ১৫১ রান করেন। ১৪ ম্যাচে ২৬৯ রানে আইপিএল শেষ করেন। চোটের জন্য এশিয়া কাপে নেই পন্থ।