আজকাল ওয়েবডেস্ক: রোহিত শর্মার ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরাকে কেন্দ্র করে কোনও উন্মাদনা ছিল না। জয়পুরে চুপিসারে হওয়ার কথা ছিল হিটম্যানের প্রত্যাবর্তন। ট্রেনিং সেশন, প্রস্তুতি, ড্রেসিংরুমে ফেরা..এই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেটা হয়নি। জয়পুর দেখল সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। চরম উন্মাদনার সাক্ষী থাকল পিঙ্ক সিটি। মঙ্গলবার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে রোহিতকে ঘিরে সমর্থকদের ভিড়। সাওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে সেলফির জন্য তাঁকে ঘিরে ধরে সমর্থকরা। ড্রেসিংরুমের করিডোর দিয়ে হাঁটার সময় ভক্তরা হিটম্যানকে ঘিরে ধরে। তাঁর কাছে ঘেঁষার চেষ্টা করে। একটা সময় পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। নিয়ম ভেঙে প্লেয়ারদের এরিয়াতে ঢুকে পড়ে সমর্থকরা। যার ফলে নিরাপত্তারক্ষীদের হস্তক্ষেপ করতে হয়।
রোহিতের চোখে মুখে বিরক্তি ফুটে ওঠে। তবে মেজাজ হারাননি। ভিড়ের মধ্যে দিয়েই হাঁটা মারেন। ফ্যানদের করিডোর থেকে সরিয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর আবার ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে চলেছেন ভারতীয় তারকারা। বুধবার সিকিমের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে বিজয় হাজারেতে অভিযান শুরু মুম্বইয়ের। ২৬ ডিসেম্বর উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ রোহিতদের। তাঁর উপস্থিতি একটি সাধারণ ম্যাচকে হাই-প্রোফাইলে পরিণত করেছে। মনে করা হচ্ছে, রোহিতকে দেখতে গ্যালারি ভরাবে দর্শকরা। যার ফলে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাড হক কনভেনার দিনদয়াল কুমাওয়াত বলেন, 'নিরাপত্তার জন্য যথাযথ পুলিশ রয়েছে। এছাড়াও প্রাইভেট বাউন্সারের আয়োজন করা হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সাউথের অ্যাডিশনাল এসপির সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। সমস্ত ব্যবস্থাপনা ঠিক আছে।' বর্তমানে স্টেডিয়ামের নর্থ এবং ইস্ট স্ট্যান্ড খোলা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও স্ট্যান্ড খোলা হবে। টি-২০ এবং টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত। শুধুমাত্র একদিনের ক্রিকেট খেলেন। ২০২৭ বিশ্বকাপ খেলার ইচ্ছে রয়েছে তারকা ক্রিকেটারের। কিন্তু গৌতম গম্ভীর ফতোয়া জারি করেছেন, জাতীয় দলে খেলতে হলে, ঘরোয়া ক্রিকেটেও অংশ নিতে হবে। সেই অনুযায়ী বিজয় হাজারেতে ফিরছেন রোহিত এবং কোহলি। দীর্ঘদিন পর ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরছেন বিরাট কোহলিও। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষবার সার্ভিসেসের সঙ্গে খেলতে দেখা যায় তারকা ক্রিকেটারকে। তারপর আর কোনওদিন ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরেননি। অবশেষে গম্ভীরের ফতোয়া মানতে বাধ্য হন। টালবাহানার পর বিজয় হাজারেতে খেলতে রাজি হন কোহলি।
