আজকাল ওয়েবডেস্ক: বড়দের ডার্বিতে পিভি বিষ্ণুর মারা শট মোহনবাগানের পেনাল্টি বক্সে আপুইয়ার হাতে লেগেছিল। 

সেই হ্যান্ডবল নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল দেশের ফুটবলে। এআইএফএফ-এর রেফারিদের হেডস্যর ট্রেভর কেটেলকে নামতে হয় আসরে। তিনি ব্যাখ্যা করে জানান, আপুইয়ার হাতে বল লাগলেও সেটা হ্যান্ডবল নয়। 

 
এদিন ছোটদের ডার্বিতেও প্রায় একই ঘটনার অবতারণা।  এবার নিজেদের পেনাল্টি বক্সে লাল-হলুদের খেলোয়াড়ের হাতে বল লাগে। মোহনবাগানের ফুটবলাররা পেনাল্টির আবেদন করলেও রেফারি সেই আবেদনে কর্ণপাত করেননি। ম্যাচ চালু রাখেন। 

পেনাল্টি নিয়ে বিতর্ক চিরকালের। ছোটদের ডার্বিতে পেনাল্টি না দেওয়া নিয়েও বিতর্ক হতে পারে।

মোহনবাগানের ২৬ নম্বর জার্সিধারী ফুটবলার মহম্মদ সরফরাজ ডান প্রান্ত থেকে সেন্টার রেখেছিলেন লাল-হলুদের পেনাল্টি বক্সে। সেই সময়ে ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টি বক্সে ছিলেন সাত নম্বর জার্সিধারী মহম্মদ রাজা। বল তাঁর হাতে লাগলে মোহনবাগানের ফুটবলাররা হ্যান্ডবলের আবদেন করেন। কিন্তু রেফারি ম্যাচ চালু রাখেন। হ্যান্ডবল দেননি। 

অনূর্ধ্ব-১৭ ইউথ লিগে ১-০ গোলে ইস্টবেঙ্গলকে এদিন হারায় মোহনবাগান। ম্যাচের একমাত্র গোল করেন আদিত্য মণ্ডল। 

১১ জানুয়ারি গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত আইএসএলের ফিরতি ডার্বির ওই হ্যান্ডবল বিতর্ক নিয়ে কম কালি খরচ হয়নি। ইস্টবেঙ্গল শিবির দাবি করে তারা কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর দ্বারস্থ হবে। আইএসএলে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই নিয়ম করে রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হচ্ছে ইস্টবঙ্গল। এই অভিযোগ লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাব বহুদিন ধরে করে আসছে। কিন্তু ফল কিছু হয়নি। 

বড়দের ডার্বি ম্যাচে যে হ্যান্ডবল নিয়ে এত কথা, এত কালি খরচ হল,বুধবার ছোটদের বড় ম্যাচেও প্রায় একই ঘটনা ঘটতে দেখা গেল। আগেরবার মোহনবাগানের আপুইয়ার হাতে বল লেগেছিল। এবার বল লাগে ইস্টবেঙ্গলের মহম্মদ রাজার হাতে। এই যে পার্থক্য।