আজকাল ওয়েবডেস্ক: তাঁদের শ্বাসপ্রশ্বাসে কেবলই ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের সুখে তাঁর সুখী। ইস্টবেঙ্গলের দুঃখে দুখী। 

কথায় বলে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। সেই বিশ্বাসের বশবর্তী হয়েই আট ইস্টবঙ্গল ভক্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন মহাকুম্ভে। 

মহাকুম্ভে পূণ্যস্নান করেন তাঁরা। মহাকুম্ভে স্নান করে পূণ্য অর্জন করার পাশাপাশি মাতৃসমা ক্লাবের দুঃসময় কাটানো ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য।  

ইস্টবেঙ্গল ভক্ত অভিজিৎ রায় বলছিলেন, ''মনের বিশ্বাস নিয়েই ছুটে গিয়েছিলাম মহাকুম্ভে।  যেদিন রওনা হয়েছিলাম, সেদিন ছিল ইস্টবেঙ্গল-মুম্বই সিটি ম্যাচ। আমাদের ক্লাব ড্র করে। দলে চোটআঘাত ছিল, প্রথম এগারো স্থির করতেই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল আমাদের কোচ অস্কার ব্রুজোঁকে। তবুও ড্র করে ফিরেছে ইস্টবেঙ্গল। সব দিক থেকেই আমাদের যাত্রাটা ইতিবাচক ছিল বলেই এখন মনে হচ্ছে।'' 

আইএসএলের পৃথিবীতে ইস্টবেঙ্গল ভাল জায়গায় নেই। গত কয়েকবছর ধরেই খারাপ সময় ইস্টবেঙ্গলের নিত্যসঙ্গী। চলতি মরশুমের গোড়া থেকেই বিপর্যয়। সব দেখে শুনে অত্যন্ত হতাশ লাল-হলুদ পৃথিবী। 

মাতৃসমা ক্লাবে যাতে সুদিন ফিরে আসে, তার জন্য নিরন্তর প্রার্থনা করে চলছেন ভক্তরা। অভিজিৎ বলছিলেন, ''মহাকুম্ভ বলেই আরও জোরালো হয় আমাদের যাওয়া। নিজেরা যখন যাচ্ছি, তখন মাতৃসমা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে কেন সঙ্গে নেব না।'' 

প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী প্রতি ১৪৪ বছরে আসে মহাকুম্ভ। এবার সেই বিরল যোগ। অভিজতের কথায়, ''ইস্টবেঙ্গল ক্লাব পূণ্যভূমি। মহাকুম্ভ স্নানের মাধ্যমে সুসময় ফিরবে ক্লাবে।'' 

আশাবাদের স্বপ্ন দেখছেন সমর্থকরা। দেখতে তো পারেনই। ১২ বছরের অনন্ত প্রতীক্ষার পরে সুপার কাপ এসেছিল লাল-হলুদে। তাহলে অন্ধকার সরণীর শেষে আলোর দেখা পাবে না কেন! 

ওই আট ইস্টবেঙ্গল সমর্থক মনে করেন, খারাপ সময়, হতশ্রী অবস্থা কাটিয়ে উঠে স্বমহিমায় ফিরবে ইস্টবেঙ্গল। ঝলসে উঠবে লাল-হলুদ। মশালের শিখা দূর করবে সব মালিন্য।