আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রথম বছর ইস্টবেঙ্গলে যাত্রা দারুণভাবে শুরু করেন। জাতীয় দলে ডাক পান। বছর ঘুরতেই পারফরমেন্স গ্রাফ নীচের দিকে নামতে শুরু করে। চলতি বছরও তথৈবচ। তারমধ্যে রয়েছে চোট-আঘাত। নিজের ফর্ম নিয়ে মোটেই খুশি নন নাওরেম মহেশ। প্রথম বছর ভারতীয়দের মধ্যে লাল হলুদের সেরা ফুটবলার ছিলেন তিনি। আশা জাগান। কিন্তু পরের মরশুমেই পতন। এবার নতুন কোচের অধীনে আবার নিজেকে নতুনভাবে ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন ইস্টবেঙ্গলের উইঙ্গার। মহেশ বলেন, 'আগের বছরও আমি তেমন ভাল খেলতে পারিনি। মাঝে চোটের জন্য বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে ছিলাম। নতুন কোচের অধীনে আবার নিজেকে নতুন করে মেলে ধরার চেষ্টা করছি। আশা করছি এইবছর আমি সেরাটা দিতে পারব।'

এবার শক্তিশালী দল গড়া সত্ত্বেও শুরুটা ভাল হয়নি। কিন্তু জোড়া জয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরেছে। নিজেদের ওপর বিশ্বাস জন্মাতে শুরু করেছে। ঘরের মাঠে এর ফায়দা তুলতে চান ইস্টবেঙ্গলের তারকা প্লেয়ার। মহেশ বলেন, 'ওড়িশায় কয়েকজন ভাল ফুটবলার আছে। তবে আমাদেরও নিজস্ব প্ল্যান আছে। নিজেদের প্রতি বিশ্বাস আছে। অনেকে না থাকায় কিছু নতুন প্লেয়ার সুযোগ পাবে। ওদের কাছে এটা সুবর্ণ সুযোগ নিজেদের প্রমাণ করার। ড্রেসিংরুমে এবং ম্যাচে কোচ যা চাইছে করার চেষ্টা করছি। দুটো ম্যাচ জেতায় আমাদের আত্মবিশ্বাস কিছুটা বেড়েছে। আশা করছি আমরা তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারব।' প্রথম দুই মরশুমে নিয়মিত গোল পেয়েছেন। কিন্তু এবার গোলের খরা চলছে। মহেশ জানেন, তাঁর থেকে দলের প্রত্যাশা অনেক। তাই গোলে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। চেন্নাইনের বিরুদ্ধে ভালই খেলেন ইস্টবেঙ্গলের উইঙ্গার। তবে গোল পাননি। একটা সময় উইং দিয়ে আক্রমণে ঝড় তুলতেন। আবার সেই পুরনো ছন্দ ফিরে পাওয়ার অপেক্ষা। তাঁদের অনুপস্থিতিতে নজর কাড়েন পিভি বিষ্ণু। চেন্নাই ম্যাচে গোলও পান। তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করলেন। মহেশ মনে করেন, ভবিষ্যতে আরও উন্নতি করবেন তরুণ স্ট্রাইকার।