ইস্টবেঙ্গল-২ হায়দরাবাদ-০
(মনোজ-আত্মঘাতী, মেসি বাউলি)
আজকাল ওয়েবডেস্ক: শেষ ল্যাপে এসে ঝলসে উঠছে ইস্টবেঙ্গল। টানা তিন ম্যাচে জয় লাল-হলুদের। অস্কার ব্রুজোঁর হাত ধরে সুপার সিক্সে যাওয়ার আশা এখন জীবন্ত লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাবের। ইস্টবেঙ্গলের এই অগ্রগতি দেখে বহু ব্যবহারে ক্লিশে হয়ে যাওয়া সেই শব্দবন্ধনীই ব্যবহার করতে ইচ্ছা করে, বৃথা আশা মরিতে মরিতেও মরে না।
লিগ টেবিলে যে একাদশ পজিশন নিয়ে কটাক্ষ, খোঁচা, সেই একাদশ পজিশন থেকে ইস্টবেঙ্গল এখন আটে। ২২ ম্যাচে ২৭ পয়েন্টে লাল-হলুদ ব্রিগেড। সুপার সিক্সের রাস্তা এখনও কণ্টকাকীর্ণ। পাপড়িবিছানো নয়। অনেক পারমুটেশন-কম্বিনেশন রয়েছে। যে দরজা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কয়েকদিন আগেও, সেই বন্ধ দরজাই হঠাৎই খুলতে শুরু করেছে। আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে একটু একটু করে।
প্রথম সাক্ষাতে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনী মনোজ মহম্মদের আত্মঘাতী গোলে ম্যাচ ড্র করেছিল হায়দরাবাদ। ঘরের মাঠে সেই হায়দরাবাদকেই ২-০ গোলে মাটি ধরাল লাল-হলুদ। একসময়ে সমর্থকরা আশঙ্কা করছিলেন, এদিন তিন পয়েন্ট ঘরে আসবে তো। প্রথমার্ধে লাল-হলুদ ব্রিগেড হতশ্রী। রিচার্ড সেলিস নামার পরে গর্জাতে শুরু করে অস্কার ব্রুজোঁর দল।
সেলিসের কর্নার থেকেই মনোজ মহম্মদের মাথায় লেগে প্রথম গোল লাল-হলুদের। অবশ্য গোলটার পিছনে অবদান ডেভিডেরও। তাঁকে যখনই নামানো হয়েছে, তখনই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। শেষ পনেরো মিনিটেই পাঠানো হয়েছিল ডেভিডকে। কর্নার থেকে সেলিসের ভাসানো বলে হেড করতে লাফিয়েছিলেন ডেভিড। সেই বল মনোজ মহম্মদের মাথায় লেগে হায়দরাবাদের জালে বল জড়িয়ে যায়। খেলার একেবারে শেষের দিকে মেসি বাউলির মরশুমে প্রথম গোল। মাঝমাঠ থেকে একক দক্ষতায় বল নিয়ে দৌড়ে গোল করে আসেন তিনি। অবশ্য এদিন একাধিক গোল করতেই পারতেন মেসি। একাধিকবার হায়দরাবাদের পেনাল্টি বক্সে কাঁপুনি ধরিয়ে দিলেও জাল কাঁপাতে পারেননি। শেষ লগ্নে ফুটবল দেবতা মুখ তুলে তাকান মেসির দিকে। ম্যাচের সেরাও হন তিনি।
আইএসএলের সঙ্গে সঙ্গে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগও রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। কথায় বলে শেষ ভাল যার, সব ভাল তার। আইএসএল যত শেষের দিকে যাচ্ছে, ততই উজ্জ্বল দেখাচ্ছে লাল-হলুদকে। এই মেজাজ, মানসিকতা এবং খেলা নিয়েই এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে নামবে অস্কারের দল, তা বলাই বাহুল্য।
