আজকাল ওয়েবডেস্ক: মেগা নিলামে ডিওয়াল্ড ব্রেভিসকে দলে নিতে কেউ আগ্রহ দেখাননি। কিন্তু চেন্নাই সুপার কিংস তাঁকে দলে নেয়। হলুদ জার্সিতে তিনি চমকেও দেন। সেই ব্রেভিস কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে মারকাটারি ইনিংস খেললেন। ৪১ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান ব্রেভিস। শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ১২৫ রানের ইনিংস খেলান তিনি। 

ব্রেভিসের মারমুখী ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে প্রোটিয়া ব্রিগেড ৭ উইকেটে ২১৮ রান করে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করলেন ব্রেভিস। প্রথম টি-টোয়েন্টি দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে গিয়েছিল ১৭ রানে। 

আরও পড়ুন:২০১৪ সালে করেছিলেন মানহানির মামলা, অবশেষে ধোনির করা সেই মামলার শুনানি শুরু হতে চলেছে 

ব্রেভিসের দুর্দান্ত ইনিংস দেখার পরে আর স্থির থাকতে পারেননি এবি ডি ভিলিয়ার্স। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোটিয়া তারকা লিখেছেন, ''নিলামে ডিওয়াল্ড  ব্রেভিসকে দলে নেওয়ার দারুণ সুযোগ ছিল দলগুলোর। কিন্তু কেউই নেয়নি ওকে। সিএসকে খুব ভাগ্যবান অথবা সব থেকে বড় মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে। এই ছেলেটা খেলতে জানে।'' 

এদিকে ব্রেভিস এদিন একাধিক রেকর্ড গড়েন। ২২ বছর ১০৫ দিন বয়সে ম্যাচটি খেলতে নামেন ব্রেভিস। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে রিচার্ড লেভিকে ছাপিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন তিনি। ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৪ বছর ৩৬ দিন বয়সে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন লেভি। 
আরও একটি রেকর্ড এদিন করেন  ব্রেভিস। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ইনিংসের কীর্তি গড়েন তিনি। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফ্যাফ ডু প্লেসিসের ১১৯ রানের ইনিংসটি এতদিন ছিল রেকর্ড।

আগামী আইপিএলে সিএসকের প্রাণভোমরা মহেন্দ্র সিং ধোনি কী করবেন? পরের বছরের আইপিএলে চেন্নাইকে সফল হতে হলে ব্রেভিসের মতো তরুণ প্রতিভাদের সুযোগ দিতে হবে। তাঁদেরকেই বেশি করে ব্যবহার করতে হবে। আর পিছনে থাকবেন ধোনি। তবে আদৌ কি তিনি খেলবেন? এক অনুষ্ঠানে এক ভক্তের প্রশ্নের জবাবে মহেন্দ্র সিং ধোনি বলছেন, ''মহেন্দ্র সিং ধোনি রসিকতার সুরে জবাব দেন ওই সমর্থককে। তিনি বলেন, ‘আমার হাঁটুর ব্যথার যত্ন নেবে কে?’ ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় অধিনায়ক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি এখনও আগামী আইপিএল নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি।

ধোনির কথায়, ‘আমি খেলব কি খেলব না, সেটা এখনও জানি না। আমার হাতে এখনও বেশ কিছুটা সময় আছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে, আরও কয়েক মাস ভেবে তারপর সিদ্ধান্ত নেব’। অর্থাৎ, আগামী মরসুমে খেলার দরজা এখনও পুরোপুরি বন্ধ করেননি তিনি। ২০২৩ সালের আইপিএল থেকেই ধোনির হাঁটুর সমস্যার কথা আলোচনায় আসে। সেই বছর হাঁটুর ব্যথা নিয়ে খেলেও চেন্নাইকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন তিনি। ফাইনালের পর মুম্বইয়ে অস্ত্রোপচার করান, যার প্রভাব পড়ে তাঁর ব্যাটিং এবং উইকেটের মাঝে রান নেওয়ার গতিতে।

২০২৫ মরসুমে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের নেতৃত্বে চেন্নাই প্রথমে খেলতে শুরু করলেও মাঝপথে রুতুরাজ চোটের কারণে ছিটকে যান। তখন ধোনিকে আবার অধিনায়কের ভূমিকায় ফিরতে হয়। তবে শেষ মরসুমটি ছিল সিএসকের অন্যতম হতাশাজনক। ১৪ ম্যাচে মাত্র ৪টি ম্যাচে জেতে ইয়েলো ব্রিগেড। যদিও ২০২৬ সালের আইপিএলে খেলার বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেননি তিনি। ধোনি ইতিমধ্যেই গায়কোয়াড়কে নেতৃত্বের ভার নেওয়ার জন্য সমর্থন জানিয়েছেন। 

আরও পড়ুন: ফিটনেস টেস্ট দিতে বেঙ্গালুরুতে ঈশান-পরাগ, জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে মেয়েদের দলের