আজকাল ওয়েবডেস্ক: বুড়ো হাড়ে আবার ভেল্কি। মুকুটে যুক্ত হল আরও একটি পালক। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর গোলে ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারে হাঙ্গেরিকে হারাল পর্তুগাল। পেনাল্টি থেকে গোল করেন সিআরসেভেন। গোলের ফলে বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারে ৩৯ গোল হয়ে গেল রোনাল্ডোর। বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় গুয়াতেমালার কার্লোস রুইজকে ছুঁয়ে ফেললেন। লিওনেল মেসিকেও পেছনে ফেলে দিলেন। তিন গোল বেশি পর্তুগিজ তারকার। মেসির গোল সংখ্যা ৩৬। পর্তুগালের হয়ে ২২৩ ম্যাচে ১৪১ গোল রোনাল্ডোর। কেরিয়ারে ৯৪৩ গোল করে ফেলেছেন। লক্ষ্য ১০০০ গোলের মাইলস্টোন পেরোনোর। যা বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে তাঁকে নতুন উচ্চতায় তুলে ধরবে। 

মঙ্গলবার হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে জেতে পর্তুগাল। জয়সূচক গোল করেন জোয়াও ক্যানসেলো। যার ফলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে পৌঁছে যায় পর্তুগাল। প্রথম দুই ম্যাচের দুটোতেই জিতল রোবার্তো মার্টিনেজের দল। ভারগার গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় হাঙ্গেরি। সমতা ফেরান বার্নার্ডো সিলভা। ম্যাচ শেষে জানান, জানতেন ম্যাচটা কঠিন হবে। বার্নার্ডো সিলভা বলেন, 'আমরা জানতাম ম্যাচটা কঠিন হতে পারে। আমরা একাধিক ভুল করেছি। ভারসাম্য রাখা সবসময় কঠিন। ফুটবলে এই বিষয়টা সহজ নয়। বিশেষ করে এইসব দলের বিরুদ্ধে যারা যানপ্রাণ দিয়ে রক্ষণ আগলে রাখার চেষ্টা করে। তারওপর আমাদের তরুণ দল। প্রতিনিয়ত উন্নতি করছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ছয় পয়েন্ট। বিশ্বকাপের যোগ্যতাঅর্জনে আমরা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছি।' 

আর্মেনিয়াকে ৫-০ গোলে হারানোর পর আত্মবিশ্বাসে ফুটছিল পর্তুগাল। কিন্তু এদিন প্রথম গোল করে এগিয়ে যায় হাঙ্গেরি। তবে বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি। ছয় মিনিটের মধ্যে সমতা ফেরায় বার্নার্ডো সিলভা। তারপর ৫৮ মিনিটে রোনাল্ডোর গোলে আবার এগিয়ে যায় পর্তুগাল। প্রথম প্লেয়ার হিসেবে ছটি বিশ্বকাপ ফাইনালে অংশ নেওয়ার নজির গড়লেন। ১৯৮৬ সালে শেষবার বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে হাঙ্গেরি। ১৫ সাক্ষাতে একবারও পর্তুগালকে হারাতে পারেনি। মঙ্গলবার ৮৪ মিনিটে আবার সমতা ফেরায় হাঙ্গেরি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। জোয়াও ক্যানসেলোর গোলে ৩-২ এ জেতে পর্তুগাল। মার্টিনেজ বলেন, 'দুটো গোল হজম করার পর জেতা কঠিন। ছেলেরা জেদ এবং ফোকাস ধরে রেখেছে। আমদের ম্যাচটা কন্ট্রোল করা দরকার ছিল। সেটা আমরা করতে পেরেছি।'