আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাত্র কয়েকদিন আগেই প্যারিসে পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে রুপোর পদক গলায় ঝুলিয়ে হাসিমুখে পোজ দিয়েছিলেন। নাদালের ভঙ্গিমায় পদক কামড়ে ছবি তোলেন। কয়েক দিন কাটতে না কাটতেই রুঢ় বাস্তবের মাটিতে আছড়ে পড়লেন। প্যারিস অলিম্পিকে ব্যালেন্স বিমে রুপোজয়ী চীনের ১৮ বছরের জিমন্যাস্ট ঝোউ ইয়াকিনকে দেখা গেল সম্পূর্ণ এক অন্য ভূমিকায়। স্থানীয় এক রেস্তোরাঁয় খাবার পরিবেশন করতে দেখা যায় অলিম্পিকের পদকজয়ীকে। হাতে বাটি নিয়ে বিভিন্ন টেবিলে টেবিলে ঘুরছেন রুপোজয়ী। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। অলিম্পিকে দুই ইতালিয়ান জিমন্যাস্টকে পদকে কামড় দিতে দেখে ১৮ বছরের তরুণী তাঁদের নকল করার চেষ্টা করেন। যা অলিম্পিক চলাকালীনই ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। এই সুন্দর মন জয় করা মজার দৃশ্যে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। এবার আরও একবার ভাইরাল হলেন তিনি। তবে এক দৃশ্য দেখে হতাশ হয়েছে বিশ্ববাসী।
চীনের হেংইয়াং শহরের এক রেস্তোরাঁর টেবিলে টেবিলে ঘুরে খাবার পরিবেশন করতে দেখা যায় অলিম্পিকের রুপোজয়ীকে। যা দেখে অবাক গোটা বিশ্ব। পরে জানা যায়, এটা তাঁদের পারিবারিক রেস্তোরাঁ। নিজের বাবা-মাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ঝোউ ইয়াকিন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে অনেক কিছুই অর্জন করে ফেলেছেন তিনি। মাত্র তিন বছর বয়সে জিমন্যাস্টিকে হাতেখড়ি। ২০২০ চাইনিজ চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যালেন্স বিমে ব্যক্তিগত বিভাগে সোনা জেতেন। সিনিয়র পর্যায় চীনের জাতীয় গেমস এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা পান। অলিম্পিকে এটাই তাঁর প্রথম পদক। কিংবদন্তি জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলসের আগে প্যারিস অলিম্পিকের ছাড়পত্র সংগ্রহ করেন ঝোউ। ফাইনালেও তাঁকে হারান। এবার ব্যালেন্স বিমে পদক পাননি বাইলস। পঞ্চম স্থানে শেষ করেন। সেখানে রুপো পান ১৮ বছরের ঝোউ। বিশ্বমঞ্চে এই বিশাল প্রাপ্তির পর আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে বাবা-মায়ের কাজে হাত বাড়িয়েছেন প্যারিস অলিম্পিকের পদকজয়ী। একেই বলে জীবন!
