আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইএসএলের দল চেন্নাইয়িন এফসি’র দায়িত্ব ছাড়লেন ওয়েন কোয়েল। দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতেই দায়িত্ব ছেড়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বৃহস্পতিবারই এই খবর জানিয়ে দেয় চেন্নাইয়িন কর্তৃপক্ষ। দু’দফায় ওয়েন আইএসএলের এই ক্লাবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রথম বার ২০১৯–২০ মরসুমে চেন্নাইয়িনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন কোয়েল। সেবার মোটেই ভাল খেলছিল না চেন্নাইয়িন। প্রায় ধুঁকতে থাকা দলকে ওয়েন নিয়ে গিয়েছিলেন আইএসএলের ফাইনালে। ভারতীয় ফুটবলে এসেই নজর কেড়েছিলেন উইগান অ্যাথলেটিক, ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের মতো দলকে কোচিং করানো কোয়েল। কিন্তু খুব বেশিদিন সেবার দায়িত্ব পালন করেননি কোয়েল। অন্য কোচের শরণাপন্ন হয় চেন্নাইয়িন। যদিও সেই কোচের কোচিংয়ে প্রত্যাশিত সাফল্য না আসায় ২০২৩ সালে তাঁকে আবার কোচের দায়িত্ব দেন চেন্নাইয়িন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে সাফল্য পাননি ব্রিটিশ কোচ। ২৪ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএলে ১১ নম্বরে গতবার শেষ করেছিল চেন্নাইয়িন। তাঁর পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট ছিলেন না কর্তারা। দু’পক্ষের আলোচনার পর ইস্তফা দিয়েছেন ৫৯ বছরের কোচ।
এদিকে, চেন্নাইয়িন দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য বিদেশি কোনর শিল্ডস দল ছেড়েছেন আগেই। এবার ইস্তফা দিলেন কোয়েলও। স্বাভাবিক ভাবেই আগামী আইএসএলের আগে সব কিছু নতুন করে সাজাতে হবে চেন্নাইয়িন কর্তৃপক্ষকে। ভাল বিদেশি ফুটবলারের পাশাপাশি কোচেরও খোঁজ করতে হবে চেন্নাইয়িন কর্তাদের।
আরও পড়ুন: ডিউক বল নিয়ে বারবার উঠছে প্রশ্ন, খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিল প্রস্তুতকারী সংস্থা
যদিও এবার আইএসএল কবে শুরু হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। এফএসডিএলের সঙ্গে আগামী ডিসেম্বরে চুক্তি শেষ হচ্ছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের। সুপ্রিম কোর্টে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন নিয়ে মামলা হওয়ায় এখনই নতুন চুক্তি হচ্ছে না। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই দল গঠন এবং কোচ নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন চেন্নাইয়িন কর্তারা।
প্রসঙ্গত, এখনও অবধি একবারই আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেন্নাইয়িন এফসি। ২০১৭–১৮ মরসুমে। সেবা বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চেন্নাইয়িন।
এদিকে, আইএসএল কবে হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তার উপর কলকাতা লিগের ডার্বিও এবার পিছিয়েছে। ১৯ জুলাই ডার্বি হওয়ার কথা ছিল কল্যাণীতে। কিন্তু সেই ডার্বি এক সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে। হবে ২৬ জুলাই কল্যাণীতেই।
পুলিশের অনুমতি না মেলায় ডার্বি পিছিয়ে দিতে হল আইএফএ’কে। বুধবার দুপুরে কল্যাণী স্টেডিয়ামেই ডার্বি সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত, কল্যাণী পুরসভার প্রধান নীলিমেশ রায়চৌধুরী এবং পুলিশের আধিকারিকরা। সেই বৈঠকেই শনিবার ডার্বি আয়োজন নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ওঠে। তারপর দিনভর নাটক চলে। বুধবার রাতে শোনা গিয়েছিল, বাতিল হতে পারে ডার্বি। বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি কিছুটা বদলায়। দুপুরে শোনা যায়, নির্ধারিত সূচি মেনেই হবে কলকাতা লিগের ডার্বি। কিন্তু সবদিক বিবেচনা করে শেষপর্যন্ত এক সপ্তাহ ডার্বি পিছিয়ে দেওয়া হল।
বৃহস্পতিবার রাতে আইএফএ’র পক্ষ থেকে ডার্বি পিছিয়ে দেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে কল্যাণী স্টেডিয়াম পর্যবেক্ষণে যান পুলিশের আধিকারিকরা। গোটা স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেন। পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হয়। দর্শকসংখ্যা কমিয়ে ডার্বি করার প্রস্তাব দেওয়া হয় আইএফএর পক্ষ থেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এক সপ্তাহ পিছিয়েই দেওয়া হল ডার্বি।
