আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বরেকর্ড। গড়ে ফেললেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক ফ্যাবিও। ৪৪ বছরের খেলোয়াড় ভেঙে দিলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন গোলরক্ষক পিটার শিলটনের নজির। ফ্লুমিনেন্সের গোলরক্ষক সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার নজির গড়েছেন।
মঙ্গলবার ফুটবলজীবনের ১৩৯১ তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন ফ্যাবিও। পুরুষদের ফুটবলে এতগুলো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার নজির বিশ্বে আর কারও নেই। শিলটনের নিজের হিসাব অনুযায়ী ১৩৮৭ টা ম্যাচ তিনি খেলেছিলেন। যদিও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তাঁর ম্যাচের সংখ্যা ১৩৯০ রয়েছে। ১৯৯৭ সালে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয় ফ্যাবিওর। সে বছরই অবসর নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন গোলরক্ষক।
এদিকে, নজির গড়ার এই ম্যাচে গোল হজম করতে হয়নি তাঁকে। তাঁর দল ফ্লুমিনেন্স মারাকানা স্টেডিয়ামে ২–০ ব্যবধানে হারিয়েছে কলম্বিয়ার আমেরিকা ডি ক্যালিকে। ফ্যাবিওর নজির গড়ার দাবি অবশ্য করেছে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমগুলো। ফিফা এখনও সরকারি ভাবে তাঁর নজির নিশ্চিত করেনি। এ বার ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্লুমিনেন্সকে তোলার নেপথ্যেও ফ্যাবিওর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
তবে এটা ঘটনা, ব্রাজিলের বাইরে কখনও খেলতে যাননি ফ্যাবিও। নজির গড়ে উচ্ছ্বসিত গোলরক্ষক বলেছেন ‘অনেক সময় আমরা এই ধরনের নজিরের গুরুত্ব বুঝতে পারি না। কিন্তু দীর্ঘ দিন টিকে থাকা একটা রেকর্ড ভাঙা গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।’ ফ্লুমিনেন্সের কোচ রেনাতো গাউচো বলেছেন, ‘এমন পেশাদারিত্ব নিয়ে আর কেউ ওর মতো এত ম্যাচ খেলতে পারেনি।’ ফ্যাবিওর নজিরে উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন সমর্থকরাও। তাঁরা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘ফ্যাবিওই ব্রাজিলের সেরা গোলরক্ষক।’
ফ্যাবিও ব্রাজিলের ক্লাব ক্রুজেইরোর হয়ে খেলেছেন ৯৭৬ টা ম্যাচ। ফ্লুমিনেন্সের হয়ে খেলেছেন এখনও পর্যন্ত ২৩৫ টা ম্যাচ। এ ছাড়া ইউনিয়াও বান্দেইরান্টের হয়ে ৩০ টা এবং ভাস্কো দা গামার হয়ে ১৫০ টা ম্যাচ খেলেছেন।
আরও পড়ুন: গিল নন, রোহিতের পর এই ক্রিকেটারকে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক করতে চায় বিসিসিআই
এদিকে ভাস্কো দা গামার কাছে ৬ গোলে হেরে স্যান্টোস সমর্থদকদের বিক্ষোভের মুখে নেইমাররা। এটা ঘটনা, সম্প্রতি স্যান্টোসকে ৬–০ গোলে ব্রাজিলিয়ান সিরি আ’তে বিধ্বস্ত করেছে ভাস্কো দা গামা। হাফডজন গোলে হেরে যাওয়ার পর আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি ব্রাজিলীয় ফুটবলার। মাঠেই হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা যায় তাঁকে। এমন লজ্জার পরাজয়ের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে স্যান্টোস কোচকে।
লিগ টেবিলে স্যান্টোস রয়েছে ১৫ নম্বর স্থানে। অবনমনের ভয় এখনও কাটেনি। একসময় ব্রাজিলের সেরা ক্লাবের এই হতাশাজনক অবস্থায় প্রবল ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। নেইমারদের অনুশীলনের পরও আছড়ে পড়ল তাঁদের বিক্ষোভ। ক্লাবের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন তাঁরা। ক্লাব কর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হন সমর্থকরা। নেইমার ও অন্যান্য প্লেয়াররাও তাঁদের মুখোমুখি হন। ৩৩ বছর বয়সি তারকাকে উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, ‘আপনি কাঁদলে দলের মনোবল কোথায় থাকবে?’ সব প্লেয়ারদের তাঁরা বলেন, ‘আপনাদের গালে চড় মারা উচিত।’
যদিও নেইমাররা ঠান্ডা মাথাতেই সমর্থকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। ব্রাজিলীয় তারকা বলেন, ‘আমি খুব হতাশ। আপনাদের প্রতিবাদ করার পূর্ণ অধিকার হয়েছে। কিন্তু হিংসাত্মক কিছু করবেন না। আমাদের অপমান করুন। আমরা নিজেরাও লজ্জিত। কেরিয়ারে এত খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে কখনও যাইনি।’
