আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাঙালির আবেগ আর ফুটবল প্রেম যেন সমার্থক। আর সেই আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে আছে শতাব্দী প্রাচীন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা আর সমর্থনের অনন্য নজির গড়েছে "প্রবাসে ইস্টবেঙ্গল" - ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের একটি ফ‍্যান ক্লাব।
গত ৮ই মার্চ, "প্রবাসে ইস্টবেঙ্গল" আয়োজন করেছিল এক বিশেষ ফুটবল প্রতিযোগিতার, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রয়াত ফুটবলারদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা। বেঙ্গালুরুর এক খ্যাতনামা মাঠে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বিভিন্ন বয়সের ফুটবলপ্রেমীরা। দল গঠন থেকে শুরু করে মাঠের সাজসজ্জা — সর্বত্রই ফুটে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের লাল-হলুদের গর্বিত ছোঁয়া।
অংশগ্রহণকারী দলগুলোর নামকরণ করা হয় ইস্টবেঙ্গলের কিংবদন্তি প্রশিক্ষকদের নামে যেমন মর্গ‍্যানস ম‍্যাভেরিকস, অস্কার্স আউটলস, কার্লেসেস কার্লাস, রাইডার্স রেবেলস, কোলাসোস ক্রাশার্স এবং আলেস এসেস।  এরপর শুরু হয় উত্তেজনায় ভরা খেলা, যেখানে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে দেখা যায় অসাধারণ দলগত ঐক‍্য ও ক্রীড়াসুলভ মনোভাব।
আয়োজকদের তরফ থেকে জানানো হয়, এই ধরনের প্রতিযোগিতা শুধু খেলার জন্য নয়, বরং প্রবাসে থেকেও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ঐতিহ্য এবং প্রিয় খেলোয়াড়দের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যম। উপস্থিত দর্শকদের উচ্ছ্বাস আর আনন্দ দেখেই স্পষ্ট, এমন উদ্যোগ আরও বেশি করে আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
সমাপ্তির আগে বিজয়ী দলকে পি কে ব‍্যানার্জি এবং কৃশানু দে স্মারক ট্রফি দেওয়া হয়, এবং রানার্স আপ দলকে সুভাষ ভৌমিক এবং সুদীপ চ‍্যাটার্জি ট্রফি দেওয়া হয়। এছাড়াও ম‍্যাচের সেরা খেলোয়াড়, সেরা গোলকিপার, সেরা ডিফেন্ডার, সেরা মিডফিল্ডার, সর্বোচ্চ গোলদাতা, এবং প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়কে পরিমল দে, প্রশান্ত ডোরা, সুধীর কর্মকার, সুরজিৎ সেনগুপ্ত, ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র, এবং স্বপন বল স্মারক সম্মান দেওয়া হয়। 
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতেও তাঁরা এই ধরনের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করবেন যাতে প্রবাসেও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ঐতিহ্য ও আবেগের আগুন জ্বলতে থাকে।
এই আয়োজন প্রমাণ করে দিল, মাটি থেকে দূরে থাকলেও, হৃদয়ের গভীরে ইস্টবেঙ্গল চিরকালীন ভালবাসার নাম। 'প্রবাসে ইস্টবেঙ্গল'-এর এই প্রয়াস তাই শুধু ফুটবল নয়, বরং আবেগের এক অনন্য উৎসব।