আজকাল ওয়েবডেস্ক: অ্যাশেজে বেন স্টোকসের নয়া কীর্তি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে সেরা বোলিং গড় তারকা অলরাউন্ডারের।   পারথের ওপটাস স্টেডিয়ামে মাত্র ছয় ওভারের মধ্যে ২৩ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন। পঞ্চম উইকেটে ট্রাভিস হেড এবং ক্যামেরুন গ্রিনের ৪৫ রানের পার্টনারশিপ ভেঙে দেন। ৩১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর এদের জুটিতে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখছিল অজিরা। দু'জনকেই আউট করেন স্টোকস। এরপর অ্যালেক্স ক্যারি, মিচেল স্টার্ক এবং স্কট বোল্যান্ডকে ফেরান। পঞ্চম ইংলিশ ক্যাপ্টেন হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজে পাঁচ উইকেট নেন। এর আগে এই তালিকায় ছিলেন গাবি অ্যালেন, জনি ডগলাস, ফ্রেডি ব্রাউন এবং বব উইলিস। 

বোলার হিসেবে এই বছর অনবদ্য স্টোকস। ছয় টেস্টে ২৫ উইকেট তুলে নেন। গড় ২০.১৬। তারমধ্যে ১১ ইনিংসে দু'বার পাঁচ উইকেট। এর আগে ঘরের মাঠে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফিতে চার ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন। গড় ২৫.২৩। সেরা বোলিং ৭২ রানে ৫ উইকেট। সিরিজে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হিসেবে শেষ করেন। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ১৭২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩২ রানে শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। তারপর অলি পোপ এবং বেন ডাকেটের মধ্যে পার্টনারশিপ দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনের শেষে ইংল্যান্ডকে ৯৯ রানে এগিয়ে দেয়। সেশনের শেষে এক উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের রান ৫৯। ক্রিজে রয়েছেন পোপ এবং ডাকেট। 

প্রথম দিনের শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ১২৩। মাত্র ৪৫.২ ওভারে ১৩২ রানে শেষ হয়ে যায় অজিদের ইনিংস। ৪০ রানে পিছিয়ে ছিল। পাঁচ উইকেট নেন স্টোকস। তবে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারে ধস নামান ব্রাইডন কার্স এবং জোফ্রা আর্চার। দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরেন জেক ওয়াদারাল্ড (০), মার্নাস লাবুশেন (৯), স্টিভ স্মিথ (১৭) এবং উসমান খোয়াজা (২)। এগিয়ে থাকার সুবিধা নিতে পারেনি ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি। শূন্য রানে উইকেট হারায়। কিন্তু দলকে এগিয়ে নিয়ে যান পোপ এবং ডাকেট। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে শুরুতেই সমস্যায় পড়ে। ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারায়। শূন্য রানে ফেরেন রুট। পরের দিকে হ্যারি ব্রুক, অলি পোপ এবং জেমি স্মিথ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু দলকে বেশিদূর টানতে পারেনি। ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের শট নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ৩২.৫ ওভারে ১৭২ রানে শেষ হয়ে যায় ইনিংস।