আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার একদিনের ক্রিকেটে ভবিষ্যৎ নিয়ে চর্চা অব্যাহত। তাঁদের বিদায়ী ম্যাচ আয়োজনের কথাও উঠতে শুরু করেছে। তবে এই প্রসঙ্গ সরাসরি উড়িয়ে দেন বিসিসিআইয়ের সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা। বরং, ফ্যানদের আশ্বস্ত করেন। জানান, দু'জনেই একদিনের ক্রিকেট খেলছে এবং যথেষ্ট ছন্দেও আছে। রোহিত এবং বিরাট টি-২০ এবং টেস্ট ক্রিকেট থেকে আগেই অবসর নিয়েছে। আচমকাই তাঁদের ফেয়ারওয়েল ম্যাচ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ২০১৩ সালে ওয়াংখেড়েতে শচীন‌ তেন্ডুলকরের বিদায়ী ম্যাচের সঙ্গে তুলনা টানা হচ্ছে। কিন্তু এই প্রসঙ্গ উড়িয়ে দেন বোর্ডের সহ সভাপতি। রাজীব শুক্লা বলেন, 'ওরা এখনও অবসর নেয়নি। নিয়েছে কি? রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি, দু'জনেই একদিনের আন্তর্জাতিক খেলছে। যখন ওরা অবসর নেয়নি, তাহলে ওদের ফেয়ারওয়েল ম্যাচ নিয়ে ভাবা হচ্ছে কেন? দুটো ফরম্যাট থেকে অবসর নিলেও, একদিনের ক্রিকেট খেলছে। এত ভাবার কিছু নেই। বোর্ডের পলিসি স্পষ্ট। আমরা কাউকে অবসর নিতে বলি না। অবসরের সিদ্ধান্ত ওদেরই নিতে হবে। ওদের সিদ্ধান্ত আমরা সম্মান করব।'

ফ্যানরা তাঁদের ফেয়ারওয়েল ম্যাচের দাবি করেছে। এই প্রসঙ্গ উঠতেই রাজীব শুক্লা বলেন, 'আমরা যখন ব্রিজের কাছাকাছি আসব, তখন পার করব। তোমরাই ওদের ফেয়ারওয়েল ম্যাচ আয়োজন করে দিচ্ছ। বিরাট কোহলি খুবই ফিট। রোহিত শর্মা খুবই ভাল খেলে। তোমার কেন ওদের বিদায়ী ম্যাচ নিয়ে চিন্তিত?' ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পর দুই ক্রিকেট আইকন সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়। তারওপর মে মাসে টেস্ট ক্রিকেট থেকেও সরে যায়। আইপিএলের পর থেকে এখনও কোনও একদিনের সিরিজ খেলেনি ভারত। অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় পরের একদিনের সিরিজ। কিছু রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলতে পারেন বিরাট এবং রোহিত। এর ওপর অনেকটাই নির্ভর করতে পারে তাঁদের ২০২৭ বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ। যদিও এখনও কিছু নিশ্চিতভাবে বলা হয়নি। বোর্ড স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, অবসরের সিদ্ধান্ত দুই তারকার ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে। তারপরই বিদায়ী ম্যাচ নিয়ে আলোচনা হবে। 

প্রসঙ্গত, প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া মনে করেন, ভুল ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন দুই তারকা। তাঁর মতে, টেস্ট খেলা চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল তাঁদের। আকাশ চোপড়া বলেন, 'দু'জনেই ভুল ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছে। হঠাৎ করে টেস্টকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। ওরা শুধু একদিনের ক্রিকেট খেলবে বলে জানিয়েছে। এটাই সমস্যার। টেস্ট ক্রিকেট সবচেয়ে কঠিন। সাদা বলের ক্রিকেট গড়পড়তা। তবে টেস্টের ক্ষেত্রে সেটা আলাদা। টেস্ট যতটা কঠিন, ব্যাটারদের জন্য একদিনের ক্রিকেট ততটাই সহজ। সেইভাবে কোনও চাপ থাকে না।' দুই মহাতারকার ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে সেটাই দেখার।