আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য মূল স্পনসর খুঁজছে বিসিসিআই। ভারত সরকার অনলাইন গেমিং অ্যাপ নিষিদ্ধ করার পর সরে গিয়েছে ড্রিম ইলেভেন। তারপর থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোনও প্রধান স্পনসর নেই। নতুন করে টেন্ডর নেওয়া হবে। বিড করা যাবে। তবে তার আগে বেশ কয়েকটা নতুন নিয়ম চালু করছে বোর্ড। বিডিংয়ে অংশ নিতে পারবে না কোনও গেমিং সংস্থা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে যুক্ত সংস্থা। ২০২৫ প্রমোশন এবং রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং অ্যাক্ট চালু হওয়ার পর ভারতীয় দলের মূল স্পনসরশিপ থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে ড্রিম ইলেভেন। ভারতীয় ক্রিকেটে মাই সার্কেল এবং ড্রিম ইলেভেনের প্রচুর অবদান রয়েছে। টাইটেল স্পনসরশিপের বাবদ ভারতীয় দল এবং আইপিএলে ১০০০ কোটি লগ্নি করে ফেলেছে এই দুই সংস্থা। এবার বিডারদের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা পেশ করে বোর্ড।

একটি মিডিয়া বিবৃতিতে জানানো হয়, 'প্রথমত, বিডারদের অনলাইন গেমিং, বেটিং এবং জুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ থাকলে হবে না। দ্বিতীয়ত, কোনও ভারতীয় নাগরিককে অনলাইন গেমে না বেটিংয়ে সাহায্য করা যাবে না। তৃতীয়ত, কোনও ভারতীয় নাগরিক বেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকলে, তাঁকে এবং তাঁর সংস্থাতে কোনও লগ্নি করা যাবে না।' বিড জমা দেওয়ার সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে। এই নিয়মাবলী ছাড়াও মদ এবং তামাকের সঙ্গে জড়িত কোনও সংস্থা বিড করতে পারবে না। তাতে ভারতীয় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। ইতিমধ্যেই অনেক ব্র্যান্ডের বিসিসিআইয়ের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে ক্রীড়া সরঞ্জাম উৎপাদনকারী সংস্থা। বর্তমানে এই তালিকায় রয়েছে অ্যাডিডাস, ক্যাম্পা কোলা, আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক এবং এসবিআই লাইফ। তাঁরা বিড করতে পারবে না। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্যারোগেট ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমেও বিড জমা করা যাবে না। গত তিন বছরে যেসব সংস্থার ন্যূনতম ৩০০ কোটি টার্নওভার, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছিল আগেই, রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে যায় ‘দ্য প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫’। সংসদের উচ্চ কক্ষে বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রের ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিতর্ক ছাড়াই ধ্বনিভোটে পাশ হয় বিলটি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করলেই বলবৎ হবে আইনটি। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বিলটির লক্ষ্য ই-স্পোর্টস এবং ক্যাজুয়াল গেমিংকে উৎসাহিত করা। তবে আসক্তি, আর্থিক ক্ষতি এবং নিরাপত্তা হুমকির উদ্বেগের কারণে অর্থের বিনিময়ে গেমিং এবং গড়াপেটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংসদের উভয় কক্ষের অনুমোদনের পর, অনলাইনে অর্থের বিনিময়ে গেমিং অফার করা বা সহায়তাতেও করার জন্য এখন তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং/অথবা এক কোটি পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। বিলটিতে অনলাইন অর্থের গেম সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার এবং ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই জাতীয় যে কোনও গেমের জন্য টাকা স্থানান্তর থেকে বিরত রাখারও চেষ্টা করা হয়েছে।