আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপে ভারতকে রোখা কঠিন। এখনও পর্যন্ত সূর্যকুমার যাদবের দল চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলছে। বাকি দলগুলো অনেক পিছিয়ে বলেই মনে করা হচ্ছে। সুপার ফোরে পাকিস্তানকে মাটি ধরানোর পরে বুধবার ভারতের সামনে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচও কি একপেশে হবে? বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্স অন্যরকম ভাবনা চিন্তা করছেন। তিনি মনে করেন, টুর্নামেন্টের যে কোনও দলেরই ভারতকে হারানোর ক্ষমতা রয়েছে। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। বাংলার বাঘেরাও হারিয়ে দিতে পারে ভারতকে।

ভারত এখনও পর্যন্ত অপরাজিত এশিয়া কাপে। কোনও দলই ভারতকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পেলতে পারেনি। সিমন্স অন্যরকম চিন্তাভাবনা করছেন। তিনি বলছেন, ''ভারতকে হারানোর ক্ষমতা রয়েছে সব দলেরই। নির্দিষ্ট দিনে যে ভাল খেলবে, সেই ম্যাচ জিতবে। ভারত আগে কী করেছে তা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। বুধবার কী হবে, তার উপরে নির্ভর করবে সব। ওই সাড়ে তিন ঘণ্টায় কে কেমন খেলে, তার উপরে নির্ভর করছে সব। আমরা নিজেদের সেরাটা তুলে ধরার চেষ্টা করব। ভারতের ভুল ভ্রান্তির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করব। এভাবে আমাদের ম্যাচ জিততে হবে'' 

আরও পড়ুন: একই সঙ্গে দুই দেশের লিগে খেলবেন অশ্বিন

এখনও পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৭ বার সাক্ষাহয়েছে টি-টোয়েন্টিতে। তার মধ্যে মাত্র একবারই জিতেছে। সেই জয় বাংলাদেশ পেয়েছে দ্বিপাক্ষিক সিরিজেমাল্টিন্যাশনাল টুর্নামেন্টে ভারত ধরাছোঁয়ার বাইরে। বাংলাদেশকে অসাধ্যসাধন করতে হলে নিজেদের উপরে বিশ্বাস রাখতে হবে। সিমন্স মনে করেন, টাইগারদের সেই বিশ্বাস আছে। প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান তারকা বলছেন, ''বিশ্বাস তো থাকতেই হবে। আমাদেরও সুযোগ রয়েছে বলে বিশ্বাস করি। ম্যাচ চলাকালীন সুযোগ সুবিধা এলে তার সদ্ব্যবহার করতে হবে আমাদের। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারলে আমাদের জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে''

এদিকে সুপার ফোরে পাকিস্তান ১৭১ রান করেও হারাতে পারেনি ভারতকে। টি-টোয়েন্টিতে ১৭১ খুব একটা খারাপ স্কোর নয়। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ৫ উইকেটে ১৭১ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে ভারত দাদাগিরি দেখাল। অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের ব্যাট শুরু থেকেই চলতে শুরু করল। শাহিন আফ্রিদিকে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে অভিষেক রান তাড়া শুরু করেছিলেন। খেলা যত এগোল ভারতের দুই ওপেনার ততই মারমুখী ব্যাটিং শুরু করে দিলেন। অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ধুয়ে গেল পাক বোলিং আক্রমণ। ৯.৫ ওভারেই ভারত ১০৫ করে ফেলে। শুভমান গিল ৪৭ রানে আশরাফের বলে বোল্ড হন। তার আগে অবশ্য চোট পান গিল। 

তাতে ছন্দ নষ্ট হয়। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব খাতা না খুলেই ফেরেন। ভারত দ্রুত গিল ও সূর্যের উইকেট হারায়। ১০৫ রানে এক উইকেট থেকে ১০৬ রানে ২ উইকেট হয়ে যায়। তাতেও দমে যাননি অভিষেক। তিনি রুদ্রমূর্তি ধরেন। নাগাড়ে আক্রমণ করে যান পাক বোলারদের। পাক বোলাররা কোথায় বল ফেলবেন তাই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। শেষমেশ আবরারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। যাওয়ার আগে ৩৯ বলে ৭৪ করে যান তিনি। ৬টি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। আউট হওয়ার আগের বলেই ছক্কা মেরেছিলেন অভিষেক। পরের বলেও মারতে গিয়ে ডাগ আউটে ফেরেন। বাকি কাজটা সারেন তিলক (১৯ বলে ৩০*) ও হার্দিক (৭*)। ৭ বল বাকি থাকতে ছয় উইকেটে ভারত ম্যাচ জেতে। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল পাকিস্তান বোধহয় লড়াইয়ে ফিরে এসেছে। কিন্তু অভিষেক ও গিল যে মঞ্চে ভারতকে বসিয়ে দিয়ে যান, তাতে ম্যাচ জেতা ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। 

আরও পড়ুন: ক্রিকেট ছেড়ে আইনজীবী, কে এই ফ্রেয়া জেনে নিন