আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রথমার্ধে দুই গোলে পিছিয়ে পড়লেও দ্বিতীয়ার্ধের শেষ কোয়ার্টারে ফিরল সমতা। ঠিক তার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ফের এক গোল খেয়ে গেল দল। মুম্বই সিটির কাছে হারের পর মুষড়ে পড়লেন ফুটবলাররা। সমর্থকদের চোখে মুখেও হতাশার ছাপ। কোচ অস্কার ব্রুজোও একই কথা জানালেন। সাংবাদিক সম্মেলনে দলের খেলা নিয়ে জানিয়ে গেলেন, 'প্রথমার্ধে অনেক সুযোগ দিয়ে ফেলেছি ওদের। রোজ রোজ তিন, চার গোল করে জেতা যায় না। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দলের মানসিকতা অন্য রকম ছিল। সেটা খেলা দেখেই বোঝা গেছে। দলের কম্বিনেশন নিয়ে পরীক্ষা চালাতে হচ্ছে। সমতা ফিরিয়েও ডিফেন্সের ভুলে পিছিয়ে পড়লাম আমরা।'
তবে চোট আঘাতে ভুগছেন লাল হলুদের একাধিক খেলোয়াড়। সেটাও স্পষ্ট জানিয়ে গেলেন অস্কার। বললেন, 'প্রথম একাদশে যাদের খেলানো দরকার তাঁদের মধ্যে অনেক খেলোয়াড় নেই, পজিশন বদলে অনেককে খেলাতে হচ্ছে। ফলে,আমরা গেম কন্ট্রোল করতে পারছি না। বলের কন্ট্রোল নিতে পারছি না। মাঝমাঠের দখল নিতে না পারলে খেলায় ফেরা সম্ভব নয়।'
চারদিন পরেই কলকাতা ডার্বি। কলকাতায় বড় ম্যাচ হচ্ছে না এটা একপ্রকার নিশ্চিত। অস্কার জানিয়ে গেলেন, দল যখন হারছিল তখনও সমর্থকরা চিৎকার করে সমর্থন করে গিয়েছেন। কিন্তু আমরা ম্যাচটা জিততে পারলাম না। সমর্থকদের সামনে ডার্বি হলে ভাল লাগত। তবে পরের ম্যাচের আগে আমাকে দলকে নতুন করে সাজাতে হবে। ডার্বি জিততে পারলে দলে আত্মবিশ্বাস ফিরবে।'
উল্লেখ্য, সোমবার ঘরের মাঠে মুম্বই সিটি এফসির কাছে ২-৩ গোলে হারল অস্কার ব্রুজোর দল। তিন ম্যাচ পর হার। বছর শেষে হায়দরাবাদের কাছে আটকে গিয়েছিল লাল হলুদ ব্রিগেড। এদিনও তথৈবচ। তবে পাঞ্জাব ম্যাচের পুনরাবৃত্তি হওয়ার সুযোগ ছিল। জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত লড়াইয়ে ২-২ করে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ওড়িশা ম্যাচের পর আবার হার। দু'টো জয়, একটি ড্রয়ের পর মুখ থুবড়ে পড়ল লাল হলুদ।
