আজকাল ওয়েবডেস্ক: টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে এখন এক নম্বর ব্যাটার তিনি। অভিষেক শর্মা। দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন তিনি। এশিয়া কাপে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় ভাল–মন্দ মিশিয়ে। কটকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভাল শুরু করেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। এটাই ভাবাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে।


কারণ টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে শুরুটা ভাল হওয়া খুব দরকার। প্রথম ছয় ওভারের সুবিধা নিতে না পারলে পরের দিকের ব্যাটারদের চাপে পড়ে যেতে হয়। 


এই পরিস্থিতিতে ঘরের মাঠে বৃহস্পতিবার খেলতে নামছেন অভিষেক, শুভমান গিল ও অর্শদীপ সিং। পাঞ্জাবের মুল্লানপুরের মাঠে হতে চলেছে পুরুষদের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এদিকে, এই ম্যাচে খেলতে নামার আগে অভিষেকের বাবা রাজকুমার শর্মা জানিয়েছেন, ‘‌ছক্কা তো অভিষেক ১১ বছর বয়স থেকেই মারত।’‌ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে অভিষেকের বাবা বলেছেন, ‘‌একদম ছোট থেকেই প্রচুর পরিশ্রম করেছে অভিষেক। ভোর চারটেয় ঘুম থেকে উঠে অনুশীলনে যেত। নিয়মিত শারীরিক কসরত করত। সাঁতার তো ছিলই।’‌ এরপরই রাজকুমারের সংযোজন, ‘‌অনেকেই জানে না অভিষেক নিয়মিত খেলতে ভালবাসে। দেশের হয়ে খেলা না থাকলে ঘরোয়া ক্রিকেট এমনকী অফিস লিগেও খেলতে নেমে যায়।’‌ 


নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগ। এই দুটোই অভিষেকের সাফল্যের রেসিপি বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা। পাঞ্জাবের যুব দলে একসময় অধিনায়ক ছিলেন অভিষেক। সেই দলে খেলতেন শুভমান গিলও। শুভমান দ্রুত এগিয়ে গেলেও অভিষেকের সময় লেগেছে।

 
অনূর্ধ্ব–১৪ শিবিরে দু’জনকেই দেখেন পাঞ্জাবের তৎকালীন জুনিয়র কোচ অরুণ বেদি এবং ডিপি আজাদ। দুই কোচই বলেছেন, ‘‌১১–১২ বছর বয়সে পেস বা স্পিনারদের বিরুদ্ধে এগিয়ে এসে ছয় মারত অভিষেক। যা বিরল।’‌ 


নানা সমস্যায় যে যুবরাজের পরামর্শ নিতে ভোলেন না অভিষেক, একথাও জানিয়েছেন রাজকুমার শর্মা।