আজকাল ওয়েবডেস্ক: জাতীয় দলের হয়ে দারুণ সফল। কিন্তু জানেন এই ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে একসময় উঠেছিল ধর্ষণের অভিযোগ। তার মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটাররা ছাড়াও রয়েছেন বিদেশি ক্রিকেটাররাও।
একসময় হার্দিক পাণ্ডিয়ার বিরুদ্ধে উঠেছিল যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগ এনেছিলেন রেহনুমা ভাটি। যিনি কুখ্যাত গ্যাংস্টার রিয়াজ ভাটির স্ত্রী। দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই রিয়াজ। শুধু হার্দিক নয়, রাজীব শুক্লা ও প্রাক্তন পেসার মুনাফ প্যাটেলের বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন ওই তরুণী। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মুম্বই পুলিশ ওই তরুণীর এফআইআর গ্রহণ করেনি। পুলিশ একটি তদন্ত শুরু করলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জোরালো কোনও প্রমাণ মেলেনি।
মুনাফ প্যাটেলের বিরুদ্ধেও উঠেছিল ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগকারিণী ছিলেন রেহনুমা ভাটি। তাঁর দাবি ছিল, হোটেলের ঘরে মুনাফ তাঁকে জোর করে ধর্ষণ করেছিলেন।
প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতারের বিরুদ্ধেও উঠেছিল ধর্ষণের অভিযোগ। সেটা ২০০৫ সাল। যদিও সেই অভিযোগ ছিল ভুয়ো। সেবার অস্ট্রেলিয়া সফরে এক তরুণীর সঙ্গে শোয়েবকে নিয়ে জোর শোরগোল পড়েছিল। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয় পাক ক্রিকেট বোর্ড।
১৯৯৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার তৎকালীন পেসার মাখায় এনতিনির বিরুদ্ধে উঠেছিল ধর্ষণের অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয়েছিল। যার জেরে তাঁকে শাস্তি পেতে হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ক্রিকেটার রায়ান হাইন্ডসের বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ২০১২ সালে। এক ২৮ বছরের তরুণী অভিযোগ এনেছিলেন হাইন্ডসের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়ে যান। আর ২০১৪ সালে তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার লুক পোমের্সব্যাচের বিরুদ্ধেও উঠেছিল ধর্ষণের অভিযোগ। ২০১২ সালের মে মাসে দিল্লির এক হোটেলে এক তরুণীকে হেনস্থা ও তাঁর প্রেমিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল অসি ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। তখন আরসিবির ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। অভিযোগ ওঠায় তাঁকে জেলেও যেতে হয়। তবে জামিনে ছাড়া পান। আদালতে ঘটনার নিষ্পত্তি হয়।
বাংলাদেশের পেসার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধেও উঠেছিল ধর্ষণের অভিযোগ। ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর প্রাক্তন বান্ধবীর অভিযোগ ছিল, বিয়ের প্রতিশ্রতি দিয়ে তিনি ওই তরুণীর সঙ্গে সহবাস করেছেন। যদিও প্রমাণের অভাবে অভিযোগ থেকে মুক্ত হন রুবেল।
এছাড়া কুইন্সল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইয়ান কিং, গুজরাটের রনজি ট্রফি ক্রিকেটার উদয় যোশীর বিরুদ্ধেও উঠেছিল ধর্ষণের অভিযোগ। প্রায় ২০–র বেশি শিশুকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল কিংয়ের বিরুদ্ধে। আর যোশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল এক বালককে যৌন নির্যাতনের।
