আজকালের প্রতিবেদন: আগামী দু’বছরের মধ্যে সেন্ট জেভিয়ার্স গ্রুপের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী মাল্টিপল এন্ট্রি ও এগজিট ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জন ফেলিক্স রাজ। সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় জেসুইট চার্চের অধীনে। এই চার্চের অধীনে দেশ জুড়ে ৭৬টি কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে মাল্টিপল এন্ট্রি ও এগজিট ব্যবস্থা চালু হলে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত কোনও পড়ুয়া কোর্সের মাঝপথে, ১ বা ২ বছর পর ক্রেডিট নিয়ে দিল্লি বা মুম্বইয়ের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়তে পারবে। নিজেদের মধ্যে আলাপ–আলোচনা করে তাঁরা এই ব্যবস্থা ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালুর কথা ভাবছেন বলে জানান উপাচার্য। এক সাংবাদিক বৈঠকে উপাচার্য জানান, ২৫ নভেম্বর রাজ্যসভার সাংসদ পি চিদম্বরম সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন ‘দ্য ফিউচার অফ ডেমোক্রেসি’র ওপর বক্তৃক্তা দিতে। বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে নতুন কোর্স চালু ও পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। জানান, ২০২৪ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মাদার টেরেসা চেয়ার ফর পিস’ চালু হচ্ছে। এর জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়কে ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় ৩৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। নিউ টাউনে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে ১০.৭ একর জমি চাওয়া হয়েছে। এই জমি পেলে ওই ক্যাম্পাসে আইন এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত কোর্সগুলিকে স্থানান্তরিত করা হবে। ভবিষ্যতে আইন এবং বিজনেস বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। ছাত্রীদের জন্য মাদার টেরেসার নামে একটি হস্টেল গড়ে তোলা হয়েছে। যা ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে চালু হবে। ২২৫টি ক্লাসরুম–সহ একটি নতুন অ্যাকাডেমিক ভবনও গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়াও বিএড–এ ইন্টিগ্রেটেড, এগজিকিউটিভ এমবিএ কোর্স চালু করা হবে। বিটেক ও এমটেক চালুর জন্য এআইসিটিই–র কাছে আবেদন করা হয়েছে। আগামী বছর ১০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।
