আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ তৃণমূলের মহামিছিল। এসআইআর নিয়ে বিক্ষোভে জ্বলছে গোটা বাংলা। একজনও বৈধ ভোটার যেন বাদ না যায়। তাহলেই দিল্লিতে কমিশনের অফিসে হবে ধরনা। জানিয়ে দিয়েছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি। মঙ্গলবারের মেগা মিছিলে ফের একই দাবি তুললেন অভিষেক। শুরুতেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন, ‘‌জাতীয় নির্বাচন কমিশন তো বিজেপির সহকারী সংস্থা।’‌ এরপরেই জুড়ে দেন, ‘‌বাংলায় এসআইআর হবে। এই ঘোষণার পর অন্তত সাত জন মারা গিয়েছেন বাংলায়। বেছে বেছে শুধু বাংলাকেই টার্গেট করা হচ্ছে।’‌ 


এরপরই মতুয়া প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘‌মতুয়াদের বাংলাদেশি বলে আখ্যায়িত করতে দেব না।’‌ মমতার কথাতেও এই মতুয়া প্রসঙ্গ উঠেছিল। তিনি মঞ্চে উঠেই বলেন, ‘‌মতুয়া ভাইবোন যাঁরা এসেছেন, সামনে চলে আসুন। আপনারা সামনের সারিতে বসুন।’‌ এমনকী দলের নেতাদের নির্দেশ দেন, যেন মতুয়াদের একেবারে সামনে নিয়ে আসা হয়। কোনও সমস্যা যাতে না হয়, তা দেখার নির্দেশ দিলেন কাউন্সিলরদের। 


অভিষেক আরও বলেন, ‘‌মাত্র দু’‌দিনের মধ্যে যদি এত জমায়েত হয়। তাহলে ভাবুন আগামী দুই মাসের মধ্যে কী হবে।’‌ অভিষেকের কথায় উঠে আসে ১০০ দিনের কাজের প্রসঙ্গ। তা নিয়েও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নেন অভিষেক। সাংসদের কথায়, ‘‌চ্যালেঞ্জ করছি মানুষের ক্ষমতা নিয়ে প্রতিবাদ কাকে বলে, তা তৃণমূল আগামী দিনে দেখিয়ে দেবে।’‌ অভিষেক আরও বলেন, ‘‌তৃণমূলকে ধমকে চমকে লাভ নেই। আগে মানুষ ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচিত করত। আজ মোদি সরকার পছন্দের ভোটার বেছে দিচ্ছে।’‌ অভিষেক আরও জুড়ে দেন, ‘‌কোনও মতুয়া বা রাজবংশী ভাইকে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে বের করতে দেব না। আবেগ নিয়ে ওরা ছেলেখেলা করে, ধর্ম নিয়ে ওরা রাজনীতি করে।’ এরপরই অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, ‘‌ঠাকুর বাড়ির এলাকায় দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি, যাঁরা বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে, তাঁদের শুধু মমতা ব্যানার্জিকে জেতানোর লড়াই নয়। বিজেপিকে তাড়ানোর লড়াই।’‌ 


এটা ঘটনা, ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (‌এসআইআর)‌‌। এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছেন বিএলওরা। একই দিনে পথে নামল রাজ্যের শাসক দল।