আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতকে লড়াইয়ে ফেরালেন সরফরাজ খান ও ঋষভ পন্থ। জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক শতরান এল মুম্বইকরের ব্যাট থেকে। টেস্টে তো বটেই। চতুর্থ দিন সকাল থেকে রীতিমতো মারকুটে মেজাজে ব্যাট করেছেন সরফরাজ ও পন্থ। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধের সময় ভারতের রান ৩৪৪/৩। তখনই মধ্যাহ্নভোজের ঘোষণা করা হয়। ভারত পিছিয়ে মাত্র ১২ রানে। সরফরাজ অপরাজিত আছেন ১২৫ রানে। খেলেছেন ১৫৪ বল। মেরেছেন ১৬টি চার ও তিনটি ছয়। আর পন্থ অপরাজিত আছেন ৫৩ রানে। খেলেছেন ৫৪ বল। মেরেছেন পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়। এক ওভারে দুটি ছয় সহ ১৬ রান তোলেন পন্থ। দু’জনে অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে তুলে ফেলেছেন ১১৩ রান। বেঙ্গালুরু টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে গিয়েছিল মাত্র ৪৬ রানে। জবাবে নিউজিল্যান্ড তোলে ৪০২।
খেলার দ্বিতীয় দিন জাদেজার বলে কিপিং করার সময় ডান হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন পন্থ। ফলে তৃতীয় দিন কিপিং করতে পারেননি। তবে চতুর্থ দিন তিনি ব্যাট হাতে একেবারে স্বমহিমায়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সরফরাজ এবং বিরাট কোহলি মিলে ১৩৬ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু দিনের শেষ বলে বিরাট আউট হওয়ায় দায়িত্ব বেড়ে যায় সরফরাজের। সেই কাজে তিনি পুরো সফল।
২০১৪ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল সরফরাজের। দু’টি অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন তিনি। ২০০৯ সালে হ্যারিস শিল্ডের একটি ম্যাচে ৪৩৯ রান করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। এরপরই সরফরাজকে মুম্বইয়ের অনূর্ধ্ব–১৯ দলে নেওয়া হয়। সেখানে ভাল খেলে ভারতের অনূর্ধ্ব–১৯ দলে সুযোগ। অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপের ইতিহাসে সরফরাজের ৫৬৬ রান তৃতীয় সর্বোচ্চ।
তাঁর জীবনে বিতর্কও কিছু কম নয়। বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করেছিল মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা। শৃঙ্খলাজনিত কারণে এমসিএ–র ইন্ডোর অ্যাকাডেমি ক্যাম্প থেকেও নির্বাসিত করা হয় তাঁকে। ২০১৪–১৫ মরসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ম্যাচ ফি আটকে রাখা হয়েছিল। অনূর্ধ্ব–১৯ ক্রিকেটের একটি ম্যাচে নির্বাচকদের উদ্দেশে কিছু অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন তিনি। ২০১৪–১৫ মরসুমের পরেই সরফরাজ মুম্বই ছেড়ে উত্তরপ্রদেশের হয়ে খেলতে চলে যান। সেখানে দু’টি মরসুম কাটালেও সাফল্য আসেনি। ২০১৯–২০ মরসুমে তিনি ফিরে আসেন মুম্বইয়ে। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সরফরাজকে। ক্রমাগত রান করে যান তিনি।
চলতি বছরের শুরুতে জাতীয় দলে অভিষেক হয়ে সরফরাজের। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। খেলেছিলেন তিন টেস্ট। আর চতুর্থ টেস্টেই পেলেন শতরান।
