আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ শুরু হয়ে গিয়েছে ইউএস ওপেন। বরিস বেকার, গোরান ইভানিসেভিচ এবং অ্যান্ডি মারের মতো টেনিস খেলোয়াড়কে কোচ হিসাবে পেয়েছেন নোভাক জকোভিচ। এ বার কি সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছেন মনিকা সেলেস? এমনই ইঙ্গিত দিলেন সার্বিয়ান তারকা। ইউএস ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে সেলেসকে নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তবে এটাও স্পষ্ট করেছেন, পাকাপাকি ভাবে সেলেসকে তাঁর কোচ হিসাবে হয়তো দেখা যাবে না।


নোভাকের মতে, তাঁর এখন যা সূচি তাতে পূর্ণ সময়ের কোচের কোনও দরকার নেই। তিনি অস্থায়ী ভাবে কোচ নিয়োগ করতে চলেছেন। সেই কোচ নির্দিষ্ট কিছু প্রতিযোগিতা বা নির্দিষ্ট কোনও টেকনিক নিয়ে কাজ করবেন তিনি।


সার্বিয়ার তারক জকোভিচ বলেছেন, ‘‌আপাতত ওঁর সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। দেখা যাক কী হয়। সময় হলে আপনারা জানতে পারবেন। আপাতত প্রাথমিক কথাবার্তা ছাড়া তেমন কিছুই এগোয়নি। দু’জনেই আবেগের থেকে জায়গাটা দেখছি। উনি আমার কোচ হতে রাজি হলে দারুণ ব্যাপার হবে। এখনই এটা নিয়ে চর্চা করে লাভ নেই।’‌


ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডে অবাছাই খেলোয়াড়কে হারিয়েছেন জকোভিচ। তিনি যখন প্রথম বার ইউএস ওপেনে খেলতে নামেন তখন জন্মাননি তাঁর কিশোর প্রতিপক্ষ লার্নার টিয়েন। ১৯ বছরের টিয়েনকে হারিয়ে ইউএস ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলেন জকোভিচ। স্ট্রেট সেটে (৬–১, ৭–৬, ৬–২) জিতলেও জকোভিচকে সমস্যায় ফেলল তাঁর পায়ের যন্ত্রণা। মেডিক্যাল বিরতি নিতে হল তাঁকে। যদিও তাতে খেলার ফলে প্রভাব পড়েনি।


প্রথম রাউন্ডে আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে টিয়েনের বিরুদ্ধে নেমেছিলেন জকোভিচ। গত মাসে উইম্বলডন সেমিফাইনালের পর থেকে কোর্টে দেখা যায়নি তাঁকে। কেন দেখা যায়নি, তা বোঝা গেল এই ম্যাচে। মেডিক্যাল বিরতি নিলেন। ডান পায়ে ফোস্কা পড়ে গিয়েছিল। ফলে যন্ত্রণা হচ্ছিল। তার চিকিৎসা করিয়ে আবার খেলতে নামলেন তিনি। একমাত্র দ্বিতীয় সেটেই জকোভিচের বিরুদ্ধে কিছুটা লড়াই করেছিলেন টিয়েন। বাকি দু’টি সেটে দাঁড়াতে পারেননি তিনি।


এটা ঘটনা, ফ্লাশিং মিডোজে নিজের ৮০ তম জয় পেলেন জকোভিচ। তিনিই ওপেন এরার প্রথম টেনিস খেলোয়াড় যিনি টানা ৭৫ গ্র্যান্ড স্ল্যামে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ জিতলেন। তার মধ্যে ৫৫ ম্যাচ স্ট্রেট সেটে জিতেছেন সার্বিয়ার তারকা।

এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ব্যাটার এবি ডিভিলিয়ার্স ইঙ্গিত দিলেন, ভবিষ্যতে আবারও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ফিরতে পারেন তিনি। তবে এবার খেলোয়াড় হিসেবে নয়, বরং কোচ বা মেন্টর হিসেবে তাঁর প্রিয় দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর(আরসিবি) সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। ডিভিলিয়ার্স ২০০৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের (বর্তমানে দিল্লি ক্যাপিটালস)হয়ে আইপিএল যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিন মরশুম পর ২০১১ সালে তিনি যোগ দেন আরসিবিতে এবং দীর্ঘদিন ধরে ব্যাট হাতে দলের ভরসা হয়ে ওঠেন। ২০২১ সালে ক্রিকেটের সব ধরনের ফরম্যাট থেকে অবসর নিলেও আরসিবির সঙ্গে তাঁর বন্ধন আজও অটুট। তিনি জানান, ‘আমি ভবিষ্যতে আইপিএলে অন্য ভূমিকায় যুক্ত হতে পারি। তবে পুরো মরশুম ধরে পেশাদার দায়িত্ব নেওয়া এখন খুব কঠিন। সেই দিনগুলো শেষ হয়ে গেছে বলে আমি মনে করি। তবে কখনও না-ও হতে পারে। আমার হৃদয় সবসময় আরসিবির সঙ্গে থাকবে। যদি ফ্র্যাঞ্চাইজি মনে করে আমার জন্য কোনও ভূমিকা আছে, তাহলে সেটা অবশ্যই আরসিবির সঙ্গেই হবে’।