আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ক্যারিবিয়ান টেল এন্ডাররা অতিষ্ট করে ছেড়েছিল বুমরাদের। তুলেছে ৩৯০ রান। কিন্তু এরকম তো হওয়ার কথা ছিল না। আসলে বহু চেষ্টা করেও জাস্টিন গ্রিভসকে টলানো যায়নি। মাটি কামড়ে পড়েছিলেন জেডন সিলসও। তাতে বিরক্ত হয়ে গ্রিভসকে প্রায় ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়ে বসেছিলেন মহম্মদ সিরাজ। পুরোটাই অবশ্য মজার ছলে। তবে এই ঘটনা ছাড়াও আরও দুটি কারণে চর্চায় সিরাজ।


এটা ঘটনা, ফলোঅন করেও লড়াই চালিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জন ক্যাম্পবেল এবং শাই হোপ সেঞ্চুরি করেন। জাস্টিন গ্রিভস অর্ধশতরান করেন। জেডন সিলস করেন ৩২ রান। বিরক্ত হয়ে গ্রিভসের মুখোমুখি হন সিরাজ। তাঁকে আবার ‘সাবধান’ করে দেন আর যেন রান না করেন। তারপর অবশ্য দু’‌জনেই হেসে ফেলেন। অনেকের মনে পড়ছে যশস্বী জয়সওয়াল ও ব্রায়ান লারার কথোপকথন। লারাও যশস্বীকে বলেছিলেন, ‘‌আমাদের বোলারদের এতো মেরো না।’‌


তবে এটা ঘটনা দিল্লি টেস্টে প্রথম ইনিংসে এক উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে দুই উইকেট পান সিরাজ। এই বছর এখনও পর্যন্ত টেস্টে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৩৭। টপকে গেলেন জিম্বাবোয়ের ব্লেসিং মুজারাবানিকে, তিনি এখনও পর্যন্ত ৩৬টি উইকেট পেয়েছেন। মিচেল স্টার্ক ২৯টি উইকেট পেয়েছেন। অন্যদিকে বুমরা ২২ উইকেট পেয়েছেন। অজি পেসার অবশ্য বছরের শেষে অ্যাশেজ পাবেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে সিরাজও ব্যবধান বাড়াতে পারবেন।


এদিকে, আরও একটি কারণে চর্চায় ভারতের তারকা পেসার। চতুর্থ দিনে ক্যারিবিয়ানদের উইকেট ফেলতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। দিল্লির রোদে কাহিল অবস্থা হয়ে যায় সিরাজের। মাঝে ডাগআউটে এসে বিশ্রাম নেন। সেই সময় ফিজিওথেরাপিস্ট তাঁকে মালিশ করে দেন। মাথায় আইস প্যাক রাখা। যা দেখে দীনেশ কার্তিক ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বলেন, ‘‌দীর্ঘ স্পেলের পর একজন পেসারকে রাজার মতো ব্যবহার পেতে দেখে বেশ ভাল লাগছে।’‌