আজকাল ওয়েবডেস্ক: গুপ্তধনের নেশায় জ্যোতিষির কথা শুনে নরবলির ঘটনা কর্নাটকে। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং ওই জ্যোতিষিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম প্রভাকর। ৫২ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি কর্নাটকের চিত্রদূর্গ জেলায় ছল্লাকেরে এলাকার পরশুরামপুর বাসস্ট্যান্ডে মুচির কাজ করতেন। প্রধান অভিযুক্ত আনন্দ অন্ধ্রপ্রদেশের কুন্দুর্পির বাসিন্দা। কর্নাটকের পাভাগাদার একটি রেস্তঁরায় রাঁধুনির কাজ করতেন। অভিযুক্ত জ্যোতিষি কর্নাটকের তুমাকুরুর বাসিন্দা।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, প্রভাকরকে ভোজালি দিয়ে খুন করেছেন আনন্দ। সম্প্রতি আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় রামকৃষ্ণের শরণাপন্ন হন। রামকৃষ্ণ তাঁকে পরমার্শ দেন মারাম্মা দেবীর কাছে নরবলি দিলে সোনার হদিস মিলবে। তাঁকে আরও আশ্বাস দেওয়া হয়, নরবলির ফলে পরশুরামপুরের পশ্চিমে গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়া যাবে। যেমন কথা তেমনই কাজ। জ্যোতিষির কথা মতো আনন্দ পরশুরামপুরের কাছে অপেক্ষা করতে থাকেন। সুযোগ বুঝে একা প্রভাকরকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার দেন। প্রভাকর সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান এবং আনন্দের বাইকে চেপে বসেন। একটি ফাকা জায়গায় আচমকা গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন আনন্দ। প্রভাকরকে বলেন, গাড়ির তেল শেষ হয়ে গিয়েছে। এর পরেই নৃশংস ভাবে খুন করা হয় তাঁকে।