আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েই টানা দুই টেস্টে শতরান। হেডিংলের পর বার্মিংহ্যাম। এবার অবশ্য দ্বিশতরান। শুভমন গিল করলেন দুরন্ত ২৬৯ রান। ৩৮৭ বলের ইনিংসে রয়েছে ৩০টি চার ও ৩টি ছয়।


শুভমন জানিয়েছেন, আইপিএল চলাকালীনই লাল বলে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। কারণ তিনি জানতেন আইপিএলের পর ইংল্যান্ড সফরের জন্য হাতে বেশি সময় থাকবে না। তাই নিজের ব্যাটিং নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন স্রেফ ইংল্যান্ড সফরের কথা ভেবে। শুভমন আরও একটা জিনিস করেছিলেন। ফিরে যান শৈশবের দিনগুলোয়। ছোটবেলায় যেমন ব্যাটিং করতেন, ইংল্যান্ড সিরিজে ঠিক সেটাই করছেন। ব্যাটিংটা উপভোগ করছেন। এজবাস্টনে ২৬৯ রানের রেকর্ড ইনিংস খেলার পর ব্রডকাস্টার চ্যানেলে শুভমন বলেন, ‘‌এর আগের সিরিজগুলোতেও ভাল ব্যাটিং করলেও ৩০–৩৫ করার পর আউট হয়ে যাচ্ছিলাম। বড় রান আসছিল না। একটু বেশিই ফোকাস করতে যাচ্ছিলাম। অনেকেই বলেছিলেন, অনেক সময় বেশি ফোকাস করতে গেলে সমস্যা হয়। মাঠে নামার পর মাথায় শুধু একটা জিনিসই ঘুরত, রান করতে হবে। তাই অতিরিক্ত মাত্রায় ফোকাস করা শুরু করেছিলাম। ব্যাটিং থেকে এনজয়মেন্ট ব্যাপারটা হারিয়ে গিয়েছিল। তারপর ঠিক করি, বেশি ভাবার দরকার নেই। রান নিয়ে বেশি ভাবব না। যতটা সম্ভব লম্বা সময় ব্যাটিং করব। ঠিক ছোটবেলায় যেভাবে ব্যাটিং করতাম, এই সিরিজেও ঠিক সেভাবেই করছি। ব্যাটিংটা উপভোগ করছি। বেশি কিছু ভাবছি না।’‌ 


এদিকে শুভমনের দুরন্ত দ্বিশতরানে মোহিত সবাই। যুবরাজ সিং টুইট করেছেন, ‘কুর্নিশ শুভমন। এরকম একটা বড় মঞ্চে কত সহজে তুমি ব্যাটিং করলে। দারুণ খেলেছো। এই ডবল সেঞ্চুরি তোমার প্রাপ্য। লক্ষ্য যখন স্থির থাকে, তখন কাউকে আটকানো যায় না, তার উদাহরণ এই ইনিংস।’ মহম্মদ সামি লিখেছেন, ‘‌কিছু ইনিংস খুব স্পেশাল হয়। আর এটা? ঐতিহাসিক। কুর্নিশ ক্যাপ্টেন।’ বীরেন্দ্র শেহবাগ লেখেন ‘‌দুর্ধর্ষ ডবল সেঞ্চুরি শুভমনের। এই ইনিংস অসম্ভব পরিণতবোধ, ধৈর্য আর স্কিলের সম্মিলিতরূপ।’ শুভমন নিজে অবশ্য বলেছেন, ‘‌লিডস টেস্ট একটা শিক্ষা দিয়েছিল। ব্যাটিং বিপর্যয় যে কোনও সময় হতে পারে। তাই উইকেট দেওয়া যাবে না। চেষ্টা করতে হবে শেষপর্যন্ত ক্রিজে থাকার।’‌